পঞ্চম পরিচ্ছেদ
বারামুল্লার পথে
ব্যক্তিগণ: শ্রীমৎ স্বামী বিবেকানন্দ, তদীয় গুরুভ্রাতৃবুল এবং শিল্পমণ্ডলী একদল ইউরোপীয় নরনারী, ধীরা মাতা, জয়া এবং নিবেদিতা তাঁহাদের অন্যতম।}}
স্থান: বেরিলী হইতে কাশ্মীরান্তঃপাতী বারামুলা পর্য়্যন্ত।
সময়: ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের ১০ই হইতে ২৪শে জুন পর্য়্যন্ত।
১৪ই জুন। পরদিন আমরা পঞ্জাব প্রবেশ করিলাম; এই ঘটনায় স্বামিজী অতি উল্লসিত হইলেন। এই প্রদেশের প্রতি তাঁহার এরূপ ঘনিষ্ঠতা ও এত প্রীতি ছিল যে, উহা ঠিক যেন তাঁহার জন্মভূমি বলিয়া প্রতীতি হইত। স্বামিজী বলিলেন, “সেখানে মেয়েরা চরকা কাটিতে কাটিতে তাহার সোহহং, সোহহং ধ্বনি শুনিয়া থাকে।” বলিতে বলিতে সহসা বিষয়ান্তর গ্রহণ করিয়া তিনি সুদূর অতীতে চলিয়া গেলেন এবং আমাদের নয়নসমক্ষে যবনগণের সিন্ধুনদতীরে অভিযান, চন্দ্রগুপ্তের আবির্ভাব এবং বৌদ্ধসাম্রাজ্যের বিবৃদ্ধি—এই সকল মহান্ ঐতিহাসিক দৃশ্যাবলী একে একে উদ্ঘাটন করিতে লাগিলেন। এই গ্রীষ্মে তিনি যেমন করিয়া হউক আটক পর্য়্যন্ত গিয়া যেখানে বিজয়ী সেকেন্দর প্রতিহত হইয়াছিলেন, সেই স্থানটা স্বচক্ষে দর্শন করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। তিনি আমাদের নিকট গান্ধার-ভাস্কর্য্যের বর্ণনা করিলেন (তিনি নিশ্চয়ই সেগুলিকে পূর্ব্ব বৎসর লাহোরের
৫৬