১৫ই জুন। বুধবার অপরাহ্ণে আমরা মরী পৌছিয়াছিলাম। ১৮ই জুন আমরা কাশ্মীর যাত্রা করিলাম, সেদিনও এক শনিবার।
১৮ই জুন। আমাদের মধ্যে একজন পীড়িত ছিলেন এবং এই প্রথম দিনটীতে আমরা অল্পদূর মাত্র গিয়া সীমান্তের অপর পারের প্রথম ডাকবাঙ্গলা ডুলাইএ বিশ্রাম করিলাম। একটী ধুলিকীর্ণ, আতপতাপে শুষ্ক পুল পার হইয়া যখন আমরা ইংরেজাধিকৃত ভারত পশ্চাতে ফেলিয়া চলিলাম, সে এক অপূর্ব্ব ক্ষণ। এই সীনারেখার অর্থ ঠিক কতটুকু বা কতখানি, তাহা আমাদের স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম হইতে অধিক দিন বিলম্ব নাই।
আমরা এখন বিতস্তা নদীর উপত্যকায়। কোহলা হইতে বারামুল্লা পর্য্যন্ত সমস্ত রাস্তা আমাদের এক সরু এঁকাবেঁকা গিরিসঙ্কট দিয়া যাইতে হইবে। এই নদীর উভয় পার্শ্বে একদম খাড়া পাহাড়। এই ডুলাইএ স্রোতের বেগ অতি ভীষণ এবং প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড জলসংঘর্ষে মসৃণ পাথর একত্র করিয়া এক বিরাট স্তূপের সৃষ্টি করিয়াছে।
অপরাহ্ণের অনেকটা সময় আমরা ঝড়ের জন্য ঘরের মধ্যে কাটাইতে বাধ্য হইয়াছিলাম। ডুলাইএ আমাদের হিন্দুধর্ম্ম-বিষয়ক জ্ঞানলাভের এক নূতন পরিচ্ছেদ খুলিয়া গেল। কারণ স্বামিজী গম্ভীর ও বিশদ্ভাবে ইহার আধুনিক অধোগতির কথা আমাদিগকে বলিলেন এবং উহাতে যেসকল কুরীতি বামাচার নামে প্রচলিত রহিয়াছে, তাহাদের প্রতি স্বীয় চিরশত্রুতার কথাও উল্লেখ করিলেন।
যিনি কোন লোকের আশাভঙ্গ করিতে পারিতেন না, সেই
৬০