জ্ঞাত থাকায় এবং মানুষ অন্য সব উপার বিফল হইলে ধর্ম্মের আশ্রয় লয় বলিয়া তিনি স্বামিজীকে একবার আসিতে অনুরোধ করিয়া লোক পাঠাইলেন। আচার্য্যদেব তথায় পৌঁছিলে একটী কৌতুককর ঘটনা ঘটিল।
“যিনি ব্রহ্মকে আপনা হইতে অন্যত্র জানেন, ব্রহ্ম তাঁহাকে পরাজয় করেন; যিনি ক্ষত্রিয়কে আপনা হইতে অন্যত্র জানেন, ক্ষত্রিয় তাঁহাকে পরাজয় করেন এবং যিনি লোকসকলকে আপনা হইতে অন্যত্র ভাবেন, লোকসকল তাঁহাকে পরাজয় করেন।” এই শ্রুতিবাক্য[১] * তাঁহার মনে পড়িল এবং রোগীও ইহার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করিয়া রোগ হইতে মুক্ত হইলেন। পরে স্বামিজী বলিলেন, “সুতরাং যদিও আমি অনেক সময় তোমাদের মনের মত কথা কহি না, বা রাগিয়া কথা বলি, তথাপি মনে রাখিও যে, প্রেম ভিন্ন অন্য কিছু প্রচার করা আদৌ আমার হৃদ্গগত ভাব নহে। আমরা যে পরস্পরকে ভালবাসি, শুধু এইটুকু আমাদের হৃদয়ঙ্গম হইলেই এই সকল গণ্ডগোল মিটিয়া যাইবে।”
সম্ভবতঃ সেই দিনই (অথবা পূর্ব্বদিনও হইতে পারে) তিনি শ্রীমহাদেব-প্রসঙ্গে আমাদের নিকট বলিলেন যে, শৈশবে তাঁহার জননী পুত্রের দুষ্টামি দেখিয়া হতাশ হইয়া বলিতেন, “এত জপ, এত উপবাসের ফলে শিব কিনা একটী পুণ্যাত্মার পরিবর্ত্তে তোকে―ভূতকে পাঠাইলেন!” অবশেষে তিনি যে সত্য সত্যই শিবের একটী ভূত, এই ধারণা তাঁহাকে পাইয়া বসিল। তাঁহার মনে
- ↑ “ব্রহ্ম তং পরাদাদ্ যেহন্যত্রাত্মনো ব্রহ্ম বেদ ক্ষত্রং তং পরাদাদ্ যোহন্যত্রাত্মনঃ ক্ষত্রং বেদ লোকান্তং পরাদুর্যোহন্যত্রাত্মনো লোকান্ বেদ।”― বৃহদারণ্যক্ ৪|৫|৭
৬২