ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
কাশ্মীর উপত্যকা
“ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়!”—অতি উল্লাসের সহিত এই কথা বলিতে বলিতে স্বামিজী আমাদের ডাকবাঙ্গলার কামরাটিতে ফিরিয়া আসিলেন এবং ছাতাটী জানুদ্বয়ের উপর রাখিয়া উপবেশন করিলেন; কোন সঙ্গী না লইয়া আসায় তাঁহাকে স্বয়ংই পুরুষমানুষের অনুষ্ঠেয় সাধারণ ছোট-খাট কাজগুলি সম্পাদন করিতে হইতেছিল এবং তিনি ডোঙ্গা-ভাড়া ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কার্য্যের জন্য বাহির হইয়াছিলেন। কিন্তু যাহির হইয়াই তাঁহার হঠাৎ একজন লোকের সহিত সাক্ষাৎ হয়, তিনি স্বামিজীর নামশ্রবণে কাজের সমস্ত ভার নিজের উপর লইয়া তাঁহাকে নিশ্চিন্ত মনে ফিরিয়া যাইতে কহিয়াছিলেন। সুতরাং দিনটা আমাদের আনন্দে কাটিয়াছিল। আমরা সামাবারে তৈরী কাশ্মীরী চা পান করিলাম এবং ঐ দেশের মোরব্বা ভক্ষণ করিলাম। পরে প্রায় চারিটার সময় আমরা তিন-ডোঙ্গা-বিশিষ্ট এক ক্ষুদ্র নৌ-বহর অধিকার করিলাম এবং আর বিলম্ব না করিয়া শ্রীনগরাভিমুখে যাত্রা করিলাম। প্রথম সন্ধ্যাটীতে আমরা স্বামিজীর জনৈক বন্ধুর বাগানের পাশে নঙ্গর করিলাম এবং সেখানে
৬৭