সকল বিষয়ের অবতারণা করিয়া তিনি এক মহদদ্ভূত চিত্র আমাদের সমক্ষে উপস্থিত করিলেন।
আর একবার মধ্য-এসিয়োদ্ভর দিগ্বিজয়ী বীর জেঙ্গিজ অথবা চেঙ্গিজ খাঁ সম্বন্ধে কথা হইল। তিনি উত্তেজিত হইয়া বলিতে লাগিলেন, “লোকে তাঁহাকে একজন নীচ, পরপীড়ক বলিয়া উল্লেখ করে তোমরা শুনিয়া থাক, কিন্তু তাহা সত্য নহে। এই মহামনাগণ কখনও কেবলই ধনলোলুপ বা নীচ হন না। তিনি একরকম অখণ্ডভাবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন এবং তাঁহার জগৎকে তিনি এক করিতে চাহিয়াছিলেন। নেপোলিয়নও সেই ছাঁচে গড়া লোক ছিলেন এবং সেকন্দরও এই শ্রেণীর আর একজন। মাত্র এই তিন জন—অথবা হয়ত একই জীবাত্মা তিনটী পৃথক্ দিগ্বিজয়ে আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল!” এবং তৎপরে যে একমাত্র অবতার-আত্মা ঐশী শক্তি দ্বারা পূর্ণ হইয়া জীবের ব্রহ্মৈকসংস্থাপনের নিমিত্ত বারংবার ধর্ম্মজগতে আবির্ভূত হইয়া আসিতেছেন বলিয়া তিনি বিশ্বাস করিতেন, তাঁহারই সম্বন্ধে তিনি বর্ণনা করিতে লাগিলেন।
এই সময়ে ‘প্রবুদ্ধ ভারত’ মাদ্রাজ হইতে নব প্রতিষ্ঠিত মায়াবর্তী আশ্রমে স্থানান্তরিত হওয়ায় আমরা সকলে প্রায়ই ইহার কথা ভাবিতাম।
স্বামিজী এই কাগজখানিকে বিশেষ ভালবাসিতেন। তৎপ্রদত্ত সুন্দর নামটাই তাহার পরিচয়। তাঁহার নিজের কয়েকখানি মুখপত্র থাকে, এইজন্য তিনি সদাই উৎসুক ছিলেন। বর্তমান ভারতে শিক্ষাবিস্তারকল্পে মাসিক পত্রের কি মূল্য, তাহা তিনি সম্যকূরূপে
৭৩