কিন্তু হের নিয়তি সে ধরে
অমোঘ প্রভাব—সৃষ্ট যাহা
প্রক্বতি-নিয়মে সবে ফিরে
যথা স্থান উদ্ভব-কারণ
লভিবারে প্রাণশক্তি পুনঃ।
ঊরহ আবার তবে,
সেই তব জন্মস্থান হতে,
হিমস্তূপ অভ্রকটিহার
আশিসিবে যেথায় সতত,
—শক্তি দিবে করিয়া সঞ্চার
নব নব অসাধ্যসাধনে;
যেথা সুরনদী তব স্বর
বাঁধিবে অমরগীতিসুরে;
দেবদারুছায়া বিধানিবে
নিত্যশান্তি যেথা তব শিরে।
সর্ব্বোপরি, যিনি উমা
শান্তপুতা হিমগিরিসুতা—
শক্তিরূপে প্রাণরূপে আর
জননী যে সৰ্ব্বভূতে স্থিতা,
কাৰ্য্য যাহা সবি কার্য্য ধীর,
এক ব্রহ্ম করে প্রপঞ্চিত,
কৃপা যাঁর সত্যের দুয়ার
খুলি এক বাহুতে দেখায়,
|
দিবে শক্তি সে জননী তোমা
ক্লান্তিহীন, স্বরূপ যাঁহার
অসীম সে প্রেমপারাবার।
আশিসিবে তোমা তাঁরা
পরমর্ষি সবে, যাঁহাদের
কোন দেশ কোন কাল নারে
শুধু আপনার বলিবারে,
—এ জাতির জনয়িতৃগণ—
সত্যের মরম যাঁরা সবে
একইরূপ করি অনুভব
নিঃসঙ্কোচে প্রচারিল ভবে
ভালমন্দ যেমন ভাষায়,
তুমি দাস তাহাদের, তায়
লভিয়াছ রহস্য সে মূল
―বস্তু এক, ইথে নাহি ভুল।
হে প্রেম! কহ সে তব
শান্তস্নিগ্ধ বাণী, নায়াসৃষ্টি
যাহার স্পন্দনে লয় পায়,
স্তরে স্তরে ছায়াস্বপ্ন আর
হের সব শূন্তেতে মিলায়,
অবশেষে সত্য নিরমল
‘স্বে মহিম্নি’ বিরাজে কেবল।
কহ আর বিশ্বজনে―
|