“একো দেবঃ সৰ্ব্বভূতেষু গূঢ়ঃ সর্ব্বব্যাপী সর্ব্বভূতান্তরাত্মা।
কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভূতাধিবাসঃ সাক্ষী চেতা কেবলো নির্গুণশ্চ।।”
—একমাত্র দেব সর্ব্বভূতে লুকাইয়া আছেন, তিনি সর্ব্বব্যাপী, সর্ব্বভূতের অন্তরাত্মা, কর্ম্মনিয়ামক, সর্ব্বভূতের আধার, সাক্ষী, চৈতন্যবিধায়ক, নিঃসঙ্গ এবং গুণরহিত।
“ন তত্র সূর্য্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকং”―সেখানে সূর্য্য প্রকাশ পান না, চন্দ্র-তারকা ও নহে।
কিরূপে একজন রাবণকে রামরূপ ধারণ করিয়া সীতাকে প্রতারণা করিবার পরামর্শ দিয়াছিল, আমরা সে গল্প শুনিলাম। রাবণ উত্তর দিয়াছিলেন, “আমি কি একথা ভাবি নাই? কিন্তু কোন লোকের রূপ ধারণ করিতে হইলে তাঁহাকে ধ্যান করিতে হইবে; আর রাম স্বয়ং ভগবান। সুতরাং যখন আমি তাঁহার ধ্যান করি, তখন ব্রহ্মপদও খড়কুটা হইয়া যায়; তখন পর-স্ত্রীর কথা কিরূপে ভাবিব?”—“তুচ্ছ ব্রহ্মপদং পরবধূসঙ্গঃ কুতঃ?”
পরে স্বামিজী মন্তব্যস্বরূপে বলিলেন, “সুতরাং দেখ, অত্যন্ত সাধারণ বা অপরাধী জীবনেও এই সব উচ্চ ভাবের আভাস পাওয়া যায়।” পরদোষ-সমালোচনা সম্বন্ধে এইরূপই বরাবর হইত। তিনি চিরকাল মানবজীবনকে ঈশ্বরের প্রকাশ বলিয়া ব্যাখ্যা করিতেন এবং কখনও কোনও ঘোর দুষ্কার্য্যের বা দুষ্ট লোকের খারাপ ভাগটা লইয়া টানাটানি করিতেন না।
“যা নিশা সৰ্ব্বভূতানাং তস্যাং জাগৰ্ত্তি সংযমী।
যস্যাং জাগ্রতি ভূতানি সা নিশা পণ্যতো মুনেঃ।।”
—যাহা সর্ব্বলোকের নিকট রাত্রি, সংযমী ব্যক্তি তাহাতে জাগরিত
৭৮