থাকেন; যাহাতে সকল লোক জাগরিত থাকে, তাহা তত্ত্বদর্শী মুনির নিকট রাত্রি (নিদ্রা)-স্বরূপ।
একদিন টমাস-আ-কেম্পিসের কথা এবং কিরূপে তিনি নিজে গীতা এবং ‘ঈশানুসরণ’ মাত্র সম্বল করিয়া সন্ন্যাসীর বেশে ভ্রমণ করিতেন তাহা বলিতে বলিতে বলিলেন যে, এই পাশ্চাত্ত্য সন্ন্যাসিবরের নামের সহিত দুশ্ছেদ্যভাবে জড়িত একটী কথা তাঁহার মনে পড়িল:
“ওহে লোকশিক্ষকগণ, চুপ কর! হে ভবিষ্যদ্বক্তৃগণ, তোমরাও থাম! প্রভো, শুধু তুমিই আমার অন্তরে অন্তরে কথা কও।”
আবার আবৃত্তি করিতেন—
“তপঃ ক্ব বৎসে ক্ব চ তারকং বপুঃ।
পদং সহেত ভ্রমরস্য পেলবং
শিরীষপুষ্পং ন পুনঃ পতন্ত্রিণঃ।।” —কুমারসম্ভব
—কঠোর দেহসাধ্য তপস্যাই বা কোথায়, আজ তোমার এই সুকোমল দেহই বা কোথায়? সুকুমার শিরীষপুষ্প ভ্রমরেরই চরণপাত সহিতে পারে, কিন্তু পক্ষীর ভার কদাচ সহ্য করিতে পারে না।–(অতএব উমা, মা আমার, তুমি তপস্যয় যাইও না) এবং গাহিতেন—
“এস মা, এস মা, ও হৃদয়রমা পরাণপুতলী গো,
হৃদয়-আসনে হও মা আসীন, নিরখি তোরে গো,
আছি জন্মাবধি তোর মুখ চেয়ে, জান গো জননী কি যাতনা সয়ে,
একবার হৃদয়-কমল বিকাশ করিয়ে প্রকাশ তাহে আনন্দময়ী।”
প্রায়ই মধ্যে মধ্যে গীতা সম্বন্ধে (“সেই বিস্ময়কর কবিতা, যাহাতে
৭৯