(Independence Day) প্রাতঃকালীন চা পান করিবার জন্য নৌকাখানিতে পদার্পণ করিলেন। স্বামিজী এই ক্ষুদ্র উৎসববাটীতে উপস্থিত থাকিবার জন্য আর এক জায়গায় যাওয়া স্থগিত করিয়াছিলেন এবং তিনি অনান্য অভিভাষণের সহিত নিজে একটী কবিতা উপহার দিলেন। সেগুলি এক্ষণে স্বাগতস্বরূপে সর্ব্বসমক্ষে পঠিত হইল:
“৪ঠা জুলাইয়ের প্রতি
“ঐ দেখ, কৃষ্ণবর্ণ মেঘগুলি অন্তর্হিত হইতেছে, রজনীতে পুঞ্জীকৃত হইয়া তাঁহারা ধরাপৃষ্ঠ কি অন্ধকার করিয়া রাখিয়াছিল! তোমার ঐন্দ্রজালিক স্পর্শে জগৎ জাগরিত হইতেছে। বিহঙ্গগণ সমস্বরে গান করিতেছে, কুসুমনিচর তাহাদের শিশির-খচিত তারকাপ্রতিম মুকুটগুলি উর্দ্ধে তুলিয়া তোমাকে স্বাগত সম্ভাষণ করিতেছে, বাপীসকল প্রেমভরে তাহাদের শতসহস্র কমলনয়ন বিস্ফারিত করিয়া তোমাকে হৃদয়ের অন্তস্তম তল হইতে অভিনন্দন করিতেছে।
“হে ত্বিষাম্পতে, স্বাগত! আজ তোমাকে নূতন করিয়া সন্তাষণ করিতেছি। হে তপন! আজ তুমি স্বাধীনতা বিকিরণ করিতেছ। ভাবিয়া দেখ, জগৎ কিরূপে তোমার প্রতীক্ষায় রহিয়াছিল, কত দেশদেশান্তর যুগ-যুগান্তর ধরিয়া তোমার সন্ধান করিয়া আসিয়াছে?—কেহ কেহ বা গৃহ পরিজন ছাড়িয়া ভীষণ জলধি ও গহন অরণ্য অতিক্রম করিয়া প্রতি পাদক্ষেপে জীবন-মরণের সহিত সংগ্রাম করিয়া তোমার অন্বেষণে স্বেচ্ছায় নির্ব্বাসনদণ্ড গ্রহণ করিয়াছে!
৮১