“তার পর এক শুভ দিনে সেই শুভ কর্মের ফল ফলিল এবং উপাসনা, প্রেম ও ত্যাগব্রত সর্ব্বাঙ্গ হইয়া উদ্যাপিত এবং গৃহীত হইল। আর, তখন তুমি প্রসন্ন হইয়া মানবজাতির উপর স্বাধীনতালোক বিকিরণ করিবার জন্য উদিত হইলে!
“চল, প্রভো, তোমার নির্দিষ্ট পথে অমোঘ গতিতে চলিতে থাক, যতদিন না তোমার মধ্যাহ্ন-কিরণ সমগ্র পৃথিবীকে ছাইয়া ফেলে, যতদিন না প্রতি দেশ তোমার আলোকে উদ্ভাসিত হইয়া উঠে, যতদিন না নরনারী নিজ নিজ দাসত্বশৃঙ্খল উন্মোচিত দেখিতে পায় এবং সগর্ব্বে মাথা তুলিয়া অনুভব করে যে, তাহাদের মধ্যে যে নব আনন্দের সঞ্চার হইয়াছে, উহা নবজীবনেরই সঞ্চার!”
৫ই জুলাই। সেই দিন সন্ধ্যাকালে একজন পাশ্চাত্ত্যসমাজে প্রচলিত মেয়েলিশাস্ত্রানুযায়ী পরিহাসচ্ছলে কবে তাঁহার বিবাহ হইবে দেখিবার জন্য নিজ থালায় কয়টী চেরী ফলের বীচি অবশিষ্ট আছে, গণিয়া দেখেন। স্বামিজী ইহাতে দুঃখিত হন। কি জানি কেন, স্বামিজী এই খেলাটীকে সত্য বলিয়া ধরিয়া লন এবং পরদিন প্রাতঃকালে যখন তিনি আসিলেন, তখন দেখিলাম আদর্শ-ত্যাগের প্রতি তাঁহার প্রবল অনুরাগ উথলিয়া পড়িতেছে।
৬ই জুলাই। অপরাধীর সহিত যেন এক চিন্তা-ক্ষেত্রে দাড়াইবার যে সহৃদয় বাসনা তাঁহাতে প্রায়ই পরিলক্ষিত হইত, সেই ইচ্ছা-প্রণোদিত হইর। তিনি বলিয়া উঠিলেন, “এই সব গার্হস্থ্য এবং বিবাহিত জীবনের ছায়া আমার মনে পর্য্যন্ত মাঝে মাঝে দেখা দেয়!” কিন্তু এই প্রসঙ্গে তিনি, যাহারা গার্হস্থ্য জীবনের জয়গান করে, তাহাদের প্রতি দারুণ অবজ্ঞাভরে ত্যাগাদর্শের উপর জোর
৮২