১৭ই জুলাই। খুব সম্ভবতঃ ইহারই পরদিবস, তিনি ধীরামাতার নৌকায় আসিয়া ভক্তি-প্রসঙ্গ করিতে থাকেন। প্রথমেই একাধারে হরগৌরীমিলনস্বরূপ সেই অদ্ভুত হিন্দুভাবটী কথিত হইল। তাহার কথাগুলি এখানে দেওয়া সহজ, কিন্তু সেই কণ্ঠস্বরের অভাবে তাহারা অপেক্ষাকৃত কিরূপ প্রাণহীন দেখাইতেছে। তা ছাড়া তখনকার চতুষ্পার্শ্বের দৃশ্য কি অপরূপ ছিল!—ছবিখানির মত শ্রীনগর, লম্বার্ডী-দেশসুলভ সমুন্নতশির পপ্লার গাছগুলি এবং দূরে চির তুষাররাশি! সেই নদীগর্ভ উপত্যকায় মহান্ পর্ব্বতরাজির পাদমূল হইতে কিঞ্চিৎ দূরে, তিনি আবৃত্তি করিলেন―
কস্তুরিকাচন্দনলেপনায়ৈ,
শ্মশানভস্মাঙ্গবিলেপনায়।
সৎকুণ্ডলায়ৈ ফণিকুণ্ডলায়,
নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায়॥
মন্দারমালাপরিশোভিতায়ৈ,
কপালমালাপরিশোভিতায়।
দিব্যাস্বরায়ৈ চ দিগম্বরায়,
নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায়॥
বিভূতিভূষাঙ্গজটাধরায়।
জগজ্জনথৈ জগদেকপিত্রে,
নমঃ শিবায়ৈ চ নমঃ শিবায়॥ ইত্যাদি।
৮৮