দশম বল্পী । 丐有 কারণ। জগৎ ধ্বংস হয়ে গেলেও জগদ্বোধায়ুক, শব্দ বা স্থল পদার্থ সকলের সূক্ষ্ম স্বরূপসমূহ ব্ৰহ্মে কারণ রূপে থাকে। জগদ্বিকাশের প্রাক্কালে প্ৰথমেই সুন্ম স্বরূপসমূহের সমষ্টিভূত ঐ পদার্থ উদ্বেলিত হয়ে ওঠে ও উহারই প্ৰকৃতিস্বরূপ শব্দগর্ভায়ুক অনাদি নাদ ‘ওঁ”কার আপনা। আপনি উঠিতে থাকে। ক্রমে ঐ সমষ্টি হতে এক একটী বিশেষ বিশেষ পদার্থের প্রথমে সুক্ষ্ম প্ৰতিকৃতি বা শাব্দিক রূপ ও পরে স্থূলৰূপ প্ৰকাশ পায়। ঐ শব্দই ব্ৰহ্ম-শব্দই বেদ। ইহাই সায়নের অভিপ্ৰায়। বুঝলি ? শিস্য। মহাশয়, ভাল বুঝিতে পারিতেছি না । স্বামিজী । জগতে কত • ঘট আছে, সবগুলো নষ্ট হলেও ঘটশব্দ भिक्षु । থাকৃতে যে পারে, তা ত বুঝেছিস্ ? তবে জগৎ ধ্বংস হলেও বা সে সব জিনিষগুলোকে নিয়ে জগৎ, সেগুলো সব ভেঙ্গে চুরে গেলেও তত্তদ্বোধাস্ত্ৰক শব্দগুলি কেন না থাকতে পারবে ? আর তা থেকে পুনঃসৃষ্ট কেনই বা না হতে পারবে ? কিন্তু মহাশয়, ‘ঘট” *ঘট” বলিয়া চাৎকার করিলেই তি चांदेडांद्री श्ध्र नां । স্বামিজী।. তুই, আমি, ঐশ্নরূপে চীৎকার করূলে হয় না ; কিন্তু সিদ্ধসঙ্কল্প ব্রহ্মে ঘটম্বতি হবামাত্র ঘটপ্রকাশ হয়। সামান্য সাধকের ইচ্ছাতেই যখন নানা অঘটন ঘটনা হতে পারে তখন সিদ্ধসঙ্কল্প ব্ৰহ্মের কা কথা । সৃষ্টির প্রাক্কালে ব্ৰহ্ম প্ৰথম শব্দাত্মক হন ; পরে “ওঁ’কারাত্মক বা নাদাত্মক হয়ে brፃ
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।