দশম বল্পী । স্বামিজী অন্যমন হইয়া কি ভাবিতেছিলেন, ইতিমধ্যে গিরিশ বাবু বলিয়া উঠিলেন-"হাঁ হে নরেন, একটা কথা বলি। বেদ বেদান্ত ত ঢ়ের পড়লে, কিন্তু এই যে দেশে ঘোর হাহাকার, অন্নাভাব, ব্যাভিচার, ভ্ৰাণহত্যা, মহাপাতকাদি চোখের সামনে দিনরাত ঘুরুচে এর উপায় তোমার বেদে কিছু বলেছে ? ঐ ‘অমুকের বাড়ীর গিন্নি, এককালে যার বাড়ীতে রোজ পঞ্চাশ খানি পাতা পড়ত সে আজ তিন দিন হাড়ি চাপায় নি ; ঐ অমুকের বাড়ীর কুলক্ষ্মীকে গুণ্ডাগুলো অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে ; ঐ অমুকের বাড়ীতে স্ত্রণহত্যা হয়েছে, অমুক জুয়োচুরী করে বিধবার সর্বস্ব হরণ করেছে—এ সকল রহিত করুবার কোনও উপায় তোমার বেদে আছে কি ?” গিরিশবাবু এইরূপে সমাজের বিভীষিকাপ্ৰদ ছবি গুলি উপযুপরি অঙ্কিত করিয়া দেখাইতে আরম্ভ করিলে সুয়ামিজা নিৰ্বাক হইয় অবস্থান করিতে লাগিলেন, জগতের দুঃখ কষ্টের কথা ভাবিতে ভাবিতে স্বামিজীর চক্ষ জল আসিল। তিনি তাহার মনের ঐক্লপ ভােব আমাদের জানিতে, দিবেন না বলিয়াই যেন উঠিয়া বাহিরে চলিয়া গেলেন। ইতিমধ্যে গিরিশবাবু শিষ্যকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “দেখালি বাঙ্গাল, কত বড় প্ৰাণ ! তোর স্বামিজীকে কেবল বেদজ্ঞ পণ্ডিত বলে মানি না ; কিন্তু ঐ যে জীবের দুঃখে কান্দুতে কান্দুতে বেরিয়ে গেল, এই মহাপ্ৰাণতার জন্য মানি!! চোখের সামনে দেখলি ত, মানুষের দুঃখ কষ্টের কথাগুলো শুনে করুণায় হৃদয় পূর্ণ হয়ে স্বামিজীর বেদ বেদান্ত সব কোথায় উড়ে গেল।” শিষ্য ! মহাশয়, আমাদের বেশ বেদ পড়া হইতেছিল; আপনি dò
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।