ক্রয়োদশ दही । ক্রীত জমিতে লইয়া যাইয়া পূজা হোমাদি করিয়া তৃথায় ঠাকুরকে, প্রতিষ্ঠিত করা হয়। স্বামিজী তখন পূৰ্ব্বোক্ত নীলাম্বরবাবুর বাগানেই অবস্থান করিতেছিলেন। জন্মতিথিপূজায় সৈ’বার বিপুল আয়োজন ! স্বামিজীর আদেশমত ঠাকুর-ঘর পরিপাটী দ্রব্যসম্ভারে পরিপূর্ণ। স্বামিজীসেদিন স্বয়ং সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিয়া বেড়াইতেছিলেন । জন্মতিথির সুপ্ৰভাতে সকলেই আনন্দিত! কেবল ঠাকুরের কথা ছাড়া ভক্তদের মুখে আর কোনও কথা নাই। পূজার ঘরের সামনে দাঁড়াইয়া স্বামিজী এইবার পূজার আয়োজন দৰ্শন করিতে লাগিলেন । পূজার তত্ত্বাবধান শেষ করিয়া স্বামিজী শিষ্যকে বলিলেন, “পৈতে এনেছিস্ত ?” শিষ্য । আস্তে হঁ। আপনার আদেশ মত সব প্ৰস্তুত । কিন্তু এত পৈতার যোগাড় কেন, বুঝিতেছি না। স্বামিজী। দ্বি-জাতিমাত্রেরই উপনয়ন সংস্কারে অধিকার আছে। বেদ স্বয়ং তার প্রমাণস্থল। আজ ঠাকুরের জন্মদিনে যারা আসবে, তাদের সকলকে পৈতে পরিয়ে দেব। এরা সব ব্রাত্য ( পতিতসংস্কার ) হয়ে গেছে। শাস্ত্রে বলে, ব্রাত্য প্ৰায়শ্চিত্ত করিলেই আবার উপনয়ন সংস্কারের অধিকারী হয়। আজ ঠাকুরের শুভ জন্মতিথি-সকলেই তার নাম নিয়ে শুদ্ধ হবে। তাই আজ সমাগত ভক্তমণ্ডলীকে পৈতে পরাতে হবে।-বুঝলি ? শিষ্য। আমি আপনার আদেশ’ মত অনেকগুলি পৈতা সংগ্ৰহ YN
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।