পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जान बल्लो । স্বামিজীর আদেশে একখানি গেরুয়া কাপড় আনাইয়া গিরিশবাবুকে পরান হইল। গিরিশবাবু কোনও আপত্তি করিলেন না। গুরুভ্ৰাতাদের ইচ্ছায় তিনি আজ অবাধে অঙ্গ ঢালিয়া” দিয়াছেন। এইবার স্বামিজী বলিলেন-“জি, সি, “ তুমি আজ আমাদের ঠাকুরের ( শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের ) কথা শুনাবো ; (সকলকে লক্ষ্য করিয়া) তোরা সব স্থির হয়ে ব’স।” গিরিশবাবুর তখনও মুখে কোনও কথা নাই। যাহার জন্মোৎসবে আজ সকলে মিলিতু হইয়াছেন, তাহার লীলা-দৰ্শন ও তঁহার সাক্ষাৎ পার্ষদগণের আনন্দ-দর্শনে তিনি আনন্দে জড়বৎ হইয়াছেন। অবশেষে গিরিশ বাবু বলিলেন- “দয়াময় ঠাকুরের কথা আমি আর কি বলিব ? কামকাঞ্চন-ত্যাগী তোমাদের ন্যায় বালসন্ন্যাসীদের সঙ্গে যে তিনি এ অধমকে একাসনে বসিতে অধিকার দিয়াছেন, ইহাতেই তঁহার অপার করুণা অনুভব করি!” কথাগুলি বলিতে বলিতে গিরিশবাবুর কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল, তিনি অন্য কিছুই আর সেদিন বলিতে পারিলেন না ! অনন্তর স্বামিজী কয়েকটী হিন্দী গান গাঁহিলেন । “বেঁইয়া না পাকাড়ো মেরা নরম কহলাইয়া” ইত্যাদি । শিষ্য সঙ্গীতবিস্তায় একেবারে পণ্ডিত, তাই ঐ সকল গানের এক বৰ্ণও বুঝিতে পারিল না ; কেবল স্বামিজীর মুখপানে অনিমেষ নয়নে চাহিয়া রহিল। এই সময়ে প্রথম পূজা শেষ হওয়ায় ভক্তগণকে জলযোগ করিবার জন্য ডাকা হইল। জলযোগ সাঙ্গ হইবার পর স্বামিজী নীচের বৈঠকখানা ঘরে যাইয়া বসিলেন । সমাগত . • গিরিশবাবুকে স্বামিজী ‘জি, সি, বলিয়া ডাকিতেন। SRS)