পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cयigo वहौ। সত্যি নয় ? তোর দৃষ্টির বাইরে কত অযুতাযুত ব্ৰহ্মাণ্ড দূরদূরাস্তরে ঘুরছে। তুই দেখতে পাসনা বলে তাদের কি আর অস্তিত্ব নেই ? তবে ঐ সব ভূতুড়ে কাণ্ডে মন দিনে, ভাবি ভূত প্রেতি আছে ত আছে। তোর কার্য্য হচ্ছে—এই শরীরমধ্যে যে আত্মা আছেন, তাকে প্রত্যক্ষ করা। তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারলে ভূত প্রেত তোর দাসের দাস হয়ে যাবে। শিষ্য। কিন্তু মহাশয়, মনে হয়, উহাদের দেখিতে পাইলে ' পুনর্জন্মাদি বিশ্বাস খুব দৃঢ় হয় এবং পরলোকে ‘আর অবিশ্বাস থাকে না । স্বামিজী। তোরা তু মহাবীর ; তোরা আবার ভূক্ত প্রেতি দেখে পরলোকে কি দৃঢ় বিশ্বাস কবি ? এত শাস্ত্ৰ, science ( বিজ্ঞান ) পড়লি--এই বিরাট বিশ্বের কত গুঢ়তত্ব জানুলি—এতেও কি আত্মজ্ঞান লাভ ভূত প্ৰেত দেখে কৰ্ত্তে হবে ? ছিঃ ছিঃ ! শিষ্য । আচ্ছা মহাশয়, আপনি স্বয়ং ভূত প্ৰেত কখন দেখিয়াছেন কি ? স্বামিজী বলিলেন, তঁাহর সংসারসম্পৰ্কীয় কোন ব্যক্তি প্রেত হইয়া তাহাকে মধে্যুযুধ্য দেখা দিত। কখন কখন দুৰ্ব্ব দূরের সংবাদসকলও আনিয়া দিত। কিন্তু পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছিলেন, তাহার কথা সকল সময়ে সত্য হইত না। পরে কোন এক তীর্থবিশেষে যাইয়া “সে মুক্ত হইয়া যাকৃ”-এইরূপ প্রার্থনা করা অবধি তিনি আর তাঁহার দেখা পান নাই। শিষ্য এইবার শ্ৰাদ্ধাদি দ্বারা প্ৰেতাত্মার তৃপ্তি হয়। কিনা প্রশ্ন