স্বদেমি-শিষ্য-সংবাদ।-- এতে কিছু ছন্দপতনাদি দোষ আছে কিনা। শিষ্য স্বীকার করিয়া উহার একুখানি নকল কঁরিয়া লইল । স্বামিজী যে দিন ঐ স্তবাটী রচনা করেন, সে দিন স্বামিজীর জিহবায় যেন সরস্বতী আরূঢ়া হইয়াছিলেন। শিষ্যের সহিত অনর্গল সুললিত সংস্কৃত ভাষায় প্রায় দু ঘণ্টা কাল আলাপ করিয়াছিলেন ! এমন সুললিত বাক্যবিন্যাস, শিস্য মহা মহা * পণ্ডিতের মুখেও কখন শুনে নাই । সে যাহা হউক, শিস্য স্তবট নকল করিয়া লইবার পুর স্বামিজী তাহাকে বলিলেন, “দেখ, ভাবে তন্ময় হয়ে লিখতে লিখতে সময়ে সময়ে আমার ব্যাকরণগত স্মলন হয় ; তাই তোদের বলি দেখে শুনে দিতে।” শিষ্য। মহাশয়, ও সব স্বলন নয়-উহা আৰ্যপ্রয়োগ । স্বামিজী। তুই ত বল্লি ; কিন্তু লোকে তা বুঝবে কেন ? এই সেদিন “হিন্দু ধৰ্ম্ম কি” বলে একটা বাঙ্গালায় লিখলুমতা তোদের ভেতরই কেউ কেউ বলছে, কটমট বাঙ্গালা হয়েছে.। আমার মনে হয়, সকল জিনিষের স্থায় ভাষা • এবং ভাবও কালে একঘেয়ে হয়ে যায় । এদেশে এখন ঐরূপ হয়েছে বলে বোধ হয়। ঠাকুরের আগমনে ভাব ও ভাষায়; আবার নূতন স্রোত এসেছে। এখন সব নুতন ছাচে গড়তে হবে। নূতন প্ৰতিভার ছাপ দিয়ে সকল বিষয় প্রচার কৰ্ত্তে হবে। এই দেখনা-আগেকার কালের সন্ন্যাসীদের চাল চলন ভেঙ্গে গিয়ে এখন কেমন এক নূতন ষ্টাচ দাড়িয়ে যাচ্ছে। সমাজ এর বিরুদ্ধে বিস্তর প্রতিবাদও v
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।