পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । স্বামিজী। যখন জয়পুরে ছিলুম, তখন এক মহা বৈয়াকরণের ফ্লাঙ্গে দেখা হয় । তার কাছে ব্যাকরণ পড়তে ইচ্ছা হল। ব্যাকরণে মহা পণ্ডিত হলেও তার অধ্যাপনার তত ক্ষমতা ছিল না। আমাকে প্রথম সূত্রের ভাষ্য তিন দিন ধরে বুঝালেন, তবুও আমি তার কিছুমাত্র ধারণা কত্তে পায়ুম না। চার দিনের দিন অধ্যাপক বিরক্ত হ’য়ে বললেন, “স্বামিজী! তিন দিনেও আপনাকে প্ৰথম সুত্রের মৰ্ম্ম বুঝাতে পালুম না। আমান্বারা আপনার অধ্যুনায় কোন ফল্ম হবে না বোধ হয়।” ঐ কথা শুনে মনে তীব্র ভৎসনা এল। আহার নিদ্রা ত্যাগ করে-প্রথম সুত্রের ভাষ্য নিজে নিজে পড়তে লাগৃল্লাম। তিন ঘণ্টার মধ্যে ঐ সূত্ৰভাষ্যের অর্থ যেন কেরামলুকবৎ’ প্ৰত্যক্ষ হয়ে গেল, তারপর অধ্যাপকের কাছে গিয়ে সমস্ত ব্যাখ্যার তাৎপৰ্য্য কথায় কথায় বুঝিয়ে বল্লুম। অধ্যাপক শুনে বল্লেন, আমি তিন দিন বুঝিয়ে যা না কত্তে পায়ুম, আপনি তিন ঘণ্টায় তার এরূপ চমৎকার ব্যাখ্যা কিরূপে উদ্ধার কবুলেন ? তারপর প্রতিদিন জোয়ারের জলের মত অধ্যায়ের পর অধ্যায় পড়ে যেতে লাগলুম। মনের একাগ্ৰতা থাকলে সব সিদ্ধ হয়-সুমেরু চূৰ্ণ কৰ্ত্তে পারা যায়। শিষ্য। মহাশয়, আপনার সবই অদ্ভুত! স্বামিজী। অদ্ভুত বলে বিশেষ একটা কিছুই নাই! অজ্ঞতাই অন্ধকার। তাইতে সব ঢেকে রেখে অদ্ভুত দেখায়। জ্ঞানলোকে সব উদ্ভিন্ন হলে কিছুতে আর অদ্ভুতত্ব থাকে না। R