পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামি-শিষ্য-সংবাদ। শো।” শিষ্য স্বামিজীর পাশের বিছানায় শুইয়া নিদ্রা যাইতে লাগিল। রাত্রে স্বামিজীর সুনিদ্রা না হওয়ায় মাঝে মাঝে উঠতে লাগিলেনু ; শিষ্যও। তখন নিদ্ৰা ত্যাগ করিয়া উঠিয়া তাহাকে আবশ্যক মত সেবা করিতে লাগিল। এইরূপে সে রাত্ৰি কাটিয়া গেল এবং শেষ রাত্রে সে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখিয়া নিদ্রাভঙ্গে আনন্দে শয্যা ত্যাগ করিল। প্রাতে গঙ্গাস্নানান্তে শিষ্য আসিয়া । দেখিল, স্বামিজী মঠের নীচের তলায় বড় বেঞ্চখানির উপর। পূৰ্ব্বাস্ত হইয়া বসিয়া আছেন। গত রাত্রের স্বপ্নকথা স্মরণ করিয়া স্বামিজীর পাদপদ্ম অৰ্চনা করিবার জন্য তাহার মন এখন ব্যগ্ৰ কুইয়া উঠিল এবং ঐ অভিপ্ৰায় জ্ঞাপন করিয়া স্বামিজীর অনুমতি প্রার্থনা করিল। তাহার একান্ত নির্বন্ধতিশয়ে স্বামিজী সম্মত হইলে, সে কতকগুলি ধূস্তৱ পুষ্প সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়া স্বামিশরীরে মহাশিবের অধিষ্ঠান চিন্তা করতঃ বিধিমত র্তাহার পূজা করিল। পূজান্তে স্বামিজী শিষ্যকে বলিলেন, “তোর পূজা তা হল কিন্তু বাবুরাম (প্ৰেমানন্দ ) এসে তোকে এখনি খেয়ে ফেলবে! তুই কিনা ঠাকুরের পূজার বাসনে (পুষ্পপাত্রে ) আমার পা রেখে পূজা কৰূলি ?” কথাগুলি বলা শেষ হইতে না হইতেই স্বামী প্ৰেমানন্দ সেখানে উপস্থিত হইলেন এবং স্বামিজী তাহাকে বলিলেন “ওরে, দেখ, আজ কি কাণ্ড করেছে! ঠাকুরের পুজার থালা বাসন গন্ধ চন্দনু এনে ও আজ আমাত্র পুজা করেছে।” স্বামী প্ৰেমানন্দ মহারাজ হাঁসিতে হাসিতে বলিলেন,-“তা বেশ করেছে ; ভূমি আর ঠাকুর কি ভিন্ন ? কথা শুনিয়া শিষ্য নির্ভর হইল।