স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । সহিত যদি তাহাদিগকে একবার কোন ভাব বুঝাইয়া দেওয়া যায়, তবে তাহারী কিছুতেই তাঁহা আর ছাড়ে না। এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা অন্য, কোন জাতিতে মিলে না। সেইজন্যই তাহারা সভ্যতা ও শক্তিসঞ্চয়ে জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়া দাড়াইয়াছে।” অনন্তর, উপযুক্ত প্রচারক পাইলে আমেরিকা ‘অপেক্ষ ইংলণ্ডেই বেদান্তকাৰ্য স্থায়ী হইবার অধিকতর সম্ভাবনা জানাইয়া বলিলেন —“আমি কেবল কাৰ্য্যের পত্তন মাত্ৰ করিয়া আসিয়াছি। পরবর্তী প্রচারকগণ ঐ পন্থা অনুসরণ করিলে, কালে অনেক কাৰ্য্য হইবে।” নরেন্দ্র বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন-“এইরূপ ধৰ্ম্ম প্রচার দ্বারা ভবিষ্যতে আমাদের কি আশা আছে ?” স্বাষিজী বলিলেন--“আমাদের দেশে আছে মাত্র এই বেদান্তধৰ্ম্ম। পাশ্চাত্য সভ্যতার তুলনায় আমাদের এখন আর কিছু নাই বল্লেই হয়। কিন্তু এই সার্বভৌমিক বেদান্তবাদ-যাহাতে সকল মতের, সকল পথের লোককেই ধৰ্ম্মলাভে সমান অধিকার প্রদান করে-ইহার ৬প্রচারে পাশ্চাত্য সভ্য জগৎ জানিতে পরিবে, ভারতবর্ষে এক সময়ে কি আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্মভাবের ক্ষুদ্রণ হইয়াছিল এবং এখনও রহিয়াছে। এই মতের চর্চায় পাশ্চাত্য জাতির আমাদের প্ৰতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি হইবে-অনেকটা এখনই হইয়াছে। এইরূপে যথার্থ শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি লাভ করিতে পারিলে আমরা তাহাদের নিকট ঐহিক জীবনের বিজ্ঞানাদি শিক্ষা কারিয়া, জীবন সংগ্রামে অধিকতর পটু হইব। পক্ষান্তরে তাহারা আমাদের নিকট এই বেদান্তমত শিক্ষা করিয়া পারমার্থিক কল্যাণ গ্লাভে সমর্থ हद्देहद ” ---
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।