স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । -এরূপে কৰ্ম্মের দোহাই দিলে, জগতে ফোন বিষয়ের জন্য চেষ্টা চরিত্র করাটাই একেবারে বিফল বলে সাব্যস্ত হয়। আপনাদের পশু রক্ষামকাজটাও বাদ যায় না। ঐ কাজ সম্বন্ধেও বলা যেতে পারে।--গোমাতারা আপন আপন কৰ্ম্মফলেই কসাইদের হাতে যাচ্চেন ও মাচ্ছেন- আমাদের উহাতে কিছু করিবার প্রয়োজন ? প্রচাবুক একটু অপ্রতিভ হইয়া বলিলেন—“হাঁ, আপনি যা বলছেন, তা সত্য; কিন্তু শাস্ত্ৰ বলে-“গরু আমাদের মাতা”।” স্বামিজী হাসতে হাসন্তে বলেন- “হা, গরু যে আমাদের মা, তা আমি বিলক্ষণ বুঝিয়াছি-ত না হইলে এমন সব ক্লান্তী সন্তান আর কে প্রসব করবেন ?” হিন্দুস্থানী প্রচারক ঐ বিষয়ে আর কিছু না বলিয়া-বোধ হয় স্বামিজীর বিষম বিদ্রুপ তিনি বুঝিতেই পারিলেন না,-স্বামিজীকে বলিলেন যে এই সমিতির উদ্দেশ্যে তিনি তার কাছে কিছু friskjifegii স্বামিজী। “আমি ত সন্ন্যাসী ফকির লোক। আমি কোথায় অর্থ পাবো, যাতে আপনাদের সাহায্য কোৰ্ববো ? তবে আমার হাতে যদি কখনও অর্থ হয়, তবে অগ্ৰে মানুষের সেবায় ব্যয় করবো ; মানুষকে আগে বাচাতে হবে-অন্নদান, বিস্তাদান ধৰ্ম্মাদান করতে হবে। এসব করে যদি অৰ্থ বাকী থাকে তবে আপনাদের সমিতিতে কিছু দেওয়া যাবে।” কথা শুনিয়া প্রচারক মহাশয় স্বামিজীকে অভিবাদনান্তে প্ৰস্থান করিলেন। তখন স্বামিৰ্জী আমাদিগকে বলিতে লাগিলেন, br s
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।