পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় বল্পী । শিষ্য। মহাশয়, শাস্ত্রের ঐ কথা যখন পড়ি বা শুনি, তখন আজও আত্মবিস্তুর প্রত্যক্ষ হইল না ভাবিয়া প্ৰাণ যেন छछेश काल। マ স্বামিজী। এরই নাম ব্যাকুলত। ঐট যত বেড়ে যাবে ততই প্ৰতিবন্ধ রূপ মেঘ কেটে যাবে। ততই শ্রদ্ধার সমাধান হবে। ক্ৰমে আত্মা কবুতলকমলবৎ প্রত্যক্ষ হবেন। অনুভূতিই ধৰ্ম্মের প্রাণ। কতকগুলি আচার নিয়ম সকলেই মেনে চলতে পারে। কতকগুলি বিধি নিষেধ সকলেই পালন কৰ্ত্তে পারে। কিন্তু অনুভূতির জন্য কয়জন লোক ব্যাকুল হয় ? ব্যাকুলতা-ঈশ্বরলাভ বা আত্মজ্ঞানের জন্য উন্মাদ হওয়াই যথার্থ ধৰ্ম্মপ্ৰাণতা। গোপীদিগের ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের জন্য যেমন উদাম উন্মত্ততা ছিল, আত্মদর্শনের জন্য সেইরূপ ব্যাকুলতা চাই। গোপীদিগের মনেও একটু একটু পুরুষ মেয়ে ভেদ ছিল। ঠিক ঠিক আত্মজ্ঞানে লিঙ্গভেদ একেবারেই নাই। বলিতে বলিতে ‘গীতগোবিন্দ’ সম্বন্ধে কথা তুলিয়া স্বামিজী বলিতে লাগিলেন “জয়দেবই সংস্কৃত ভাষার শেষ কবি। তবে জয়দেব ভাবাপেক্ষ * var TV jingling of words (শ্রীতিমধুর বাক্যবিন্যাসের ) দিকে বেশী নজর রেখেছেন। দ্যাখ্যা দেখি গীতগোবিন্দের “পততি পতন্ত্ৰে” ইত্যাদি শ্লোকে অনুরাগ ব্যাকুলতার কি culmination ( পরাকাষ্ঠা ) কবি দেখিয়েছেন? আত্মদর্শনের জন্য, ঐরূপ অনুরাগ হওয়া চাই প্ৰাণের ভিতরটা ছটফট করা চাই .