স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । হয়, তাহা শিষ্যের ইদানীং স্মরণ নাই। তবে এই পৰ্য্যন্ত শ্মরণ হয় যে, পণ্ডিতেরা সকলেই প্রায় এক সঙ্গে চীৎকার করিয়া সংস্কৃতে স্বামিজীকেদার্শনিক কুট প্রশ্ন সমূহ করিতেছিলেন এবং স্বামিজী প্রশান্ত গভীরভাবে ধীরে ধীরে তাহাদিগকে ঐ বিষয়ক নিজ মীমাংসাৰ্ঘোতক সিদ্ধান্তগুলি বলিতেছিলেন। ইহাও বেশ মনে আছে যে, স্বামিজীর সংস্কৃত ভাষা পণ্ডিতগণের ভাষা অপেক্ষা শ্রুতিমধুর ও সুললিত হইতেছিল। পণ্ডিতগণও ঐ কথা পরে স্বীকার করিয়াছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় স্বামিজীকে ঐ রূপে অনর্গল কথাবার্তা কহিতে দেখিয় তাহার গুরুভ্রাতৃগণও সেদিন স্তম্ভিত হইয়াছিলেন। কারণ, গত ছয় বৎসর কাল ইউরোপ ও আমেরিকায় অবস্থান কালে স্বামিজী যে সংস্কৃত আলোচনার তেমন সুবিধা পান নাই, তাহা সকলেরই জানা ছিল। শাস্ত্ৰদশী এই সকল পণ্ডিতগণের সঙ্গে ঐ রূপ তর্কালাপে সেদিন সকলেই বুঝিতে পারিয়াছিল, স্বামিজীর মধ্যে অদ্ভুত শক্তির স্মরণ হইয়াছে। সেদিন ঐ সভায় রামকৃষ্ণানন্দ, যোগানন্দ, নিৰ্ম্মলানন্দ, তুরীয়ানন্দ ও শিবানন্দ স্বামী মহারাজগণ উপস্থিত ছিলেন। স্বামিজী পণ্ডিতগণের সহিত বাদে সিদ্ধান্ত পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন এবং খণ্ডিতগণ পূর্বপক্ষবাদী হইয়াছিলেন। শিষ্যের মনে পড়ে, বিচায়কালে স্বামিজী এক স্থলে “স্বস্তি” স্থলে “অস্তি” প্রয়োগ করায় পণ্ডিতগণ হাঁসিয়া উঠেন; তাহাতে স্বামিজী তৎক্ষণাৎ বলেন “পণ্ডিতানাং দাসোহহং ক্ষন্তব্যমেতৎ শ্বলনং”—আমি পণ্ডিতগণের দাস ; আমার এই ব্যাকরণ স্থালন ক্ষমা করুন। পণ্ডিতেরাও স্বামিজীর ঈদৃশ সৈন্য ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া যান। অনেকক্ষণ বাদামুবাদের পরিশেষে সিদ্ধান্ত পক্ষের মীমাসাং, পৰ্যাপ্ত বলিয়া পণ্ডিতগণ Res
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।