পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । দিকে অবস্থিত বিববৃক্ষের দিকে অগ্রসর হইলেন। স্বামিজী চলিয়া যাইলে গিরিশবাবু উপস্থিত ভক্তমণ্ডলীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন -একদিন হরমোহন (মিত্ৰ ) কি খবরের কাগজ দেখে এসে বল্পে যে, স্বামিজীর নামে আমেরিকায় কি একটা কুৎসা রটেছে। আমি তখন তাকে বলেছিলেম, ‘নরেনকে যদি নিজ চক্ষে কিছু অদ্যায় কবৃতে দেখি তবে বলবো, আমার চক্ষের দোষ হয়েছে-চোক উপড়ে ফেলবো। ওরা সুৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে তোলা বাখন, ওরা কি আর জলে মেশে ? ওদের যে কেউ দোষ ধৰ্ত্তে যাবে, তাদের নরক হবে।” এইরূপ কথা হইতেছে, এমন সময়ে স্বামি নিরঞ্জনানন্দ গিরিশ ঘোষ মহাশয়ের কাছে আসিলেন এবং একটা থেলো হুকা লাইয়া তামাক খাইতে খাইতে কলম্বো হইতে কলিকাতা প্ৰত্যাবৰ্ত্তনকাল পৰ্যন্ত ভারতের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে জনসাধারণে শ্ৰীদ্বামিজীকে যে অপুৰ্ব্বভাবে আদর অভ্যর্থনাদি করিয়াছে ও তিনি তাহদের যে সকল অমূল্য উপদেশ বক্তৃতাচ্ছলে বলিয়াছেন, তাহার কতক কতক বর্ণনা করিতে লাগিলেন। গিরিশবাবু শুনিতে শুনিতে স্তম্ভিত হইয়া বসিয়া রহিলেন । সেদিন দক্ষিণেশ্বর ঠাকুরবাটীর সর্বত্রই একটা দিব্য ভাবের বন্যা। ঐ রূপে বহিয়া যাইতেছিল। এইবার সেই বিরাট জনসঙ্ঘ স্বামিজীর বক্তৃতা শুনিতে উদগ্ৰীব হইয়ু দণ্ডায়মান হইল। কিন্তু বহু চেষ্টা করিয়াও স্বামিজী লোকের কলরবের অপেক্ষ উচ্চৈঃস্বরে বক্তৃতা করিতে পারিলেন না । অগত্যা বক্তৃতার উদ্যম পরিত্যাগ করিয়া তিনি আবার ইংরেজ মহিলা দুইটিকে সঙ্গে লইয়া ঠাকুরের সাধনস্থান দেখাইতে ও শ্ৰীঠাকুরের বিশিষ্ট ভক্ত ও অন্তরঙ্গগণের ♥9፱”