সপ্তম বল্পী । সম্প্রদায়পূর্ণ জগতে আর একটী নূতন সূস্প্রদায় গঠিত করে যেতে আমার জন্ম হয় নাই। প্রভুর পদতলে স্নাশ্ৰয় পেয়ে আমরা ধন্য হয়েছি। ত্ৰিজগতের লোককে তার ভাবসমূহ দিতেই আমাদের জন্ম। যোগানন্দ স্বামী কথার প্রতিবাদ না করায় স্বামিজী আবার বলিতে লাগিলেন :-প্রভুর দয়ার নিদর্শন ভূয়োভূয়ঃ এ জীবনে ? পেয়েছি। তিনি পেছনে দাড়ায়ে এ সব কাৰ্য্য করিয়ে নিচ্ছেন। যখন ক্ষুধায় কাতর হয়ে গাছতলায় পড়ে থাকৃতুম, যখন কৌপীন আঁটবার বস্ত্র ছিল না, যখন কপৰ্দকশূন্য হয়ে পৃথিবী ভ্রমণে কৃতসংকল্প, তখনও ঠাকুরের দয়ায় সৰ্ব্ববিষয়ে সহায়তা পেয়েছি! আবার যখন এই বিবেকানন্দকে দর্শন করতে চিকাগোর রাস্তায় লাঠালাঠি হয়েছে, যে সম্মানের শতাংশের একাংশ পেলে সাধারণ মানুষ উন্মাদ হয়ে যায়, ঠাকুরের রূপায় তখন সে সম্মানও অক্লেশে হজম করেছি-প্রভূর ইচ্ছায় সর্বত্র বিজয় ! এবার এদেশে কিছু কাৰ্য্য করে যাব, তোরা সন্দেহ ছেড়ে আমার কাৰ্য্যে সাহায্য করু, দেখবি তঁর ইচ্ছায় সব পূর্ণ হয়ে যাবে।” * স্বামী যোগানন্দ। তুমি যা ইচ্ছে করবে, তাই হবে। আমরা ত চিরদিন তোমরই আজ্ঞানুবাস্ত্রী। ঠাকুর যে তোমার ভিতুর দিয়ে এ সকল করছেন, মাঝে মাঝে তা বেশ দেখতে * পাচ্ছি। তবু কি জান-মধ্যে মধ্যে কেমন খটকা আসে -ঠাকুরের কার্য্যপ্ৰণালী অস্ট্যরূপ দেখেছি কি না । তাই মনে হয়, আমরা তার শিক্ষা ছেড়ে অন্য পথে চলছি না। ত ? --তাই তোমায় অন্যরূপ বলি ও সাবধান করে দিই.। ¢ዓ
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।