পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম বাল্পী । করেছিলেন, নরেন সেই নির ঋষির অবতার।’ কখনো বলতেন, ‘শুকদেবের মত, মায়া স্পর্ক্স করতে পারে নি। শিষ্য। ঐ কথাগুলি কি সত্য? ন-ঠাকুর ভাবমুখে এক এক সময়ে এক এক রূপ বলিতেন ? যোগানন্দ। তঁর কথা সব সত্য। তঁর শ্ৰীমুখে ভ্ৰমেও মিথ্যা কথা বেরকৃত না । শিস্য। তাহা হইলে সময় সময় ঐ রূপ ভিন্নরূপ বলিতেন কেন ? যোগানন্দ । তুই বুঝতে পারিস্নি। নরেনকে ঐ সকলের সমষ্টিপ্ৰকাশ বলতেন। নরেনের মধ্যে ঋষির বেদজ্ঞান, শঙ্করের ত্যাগ, বুদ্ধের হৃদয়, শুকদেবের মায়ারাহিত্য ও ব্ৰহ্মজ্ঞানের পূর্ণ বিকাশ এক সঙ্গে রয়েছে, দেখতি পাচ্ছিন্স না ? ঠাকুর তাই মধ্যে মধ্যে ঐ রূপ নানা ভাবে কথা কইতেন। যা বলতেন, সব সত্য । শিয়ু শুনিয়া নিৰ্বাক্‌ হইয়া রহিল। ইতিমধ্যে স্বামিজী ফিরিয়া আসিয়া শিশ্যকে বলিলেন, “তোদের ওদেশে ঠাকুরের নাম বিশেষ- , ভাবে লোকে জানে কি ?” শিস্য। মহাশয়, একা নাগ মহাশয়ই ওদেশ হইতে ঠাকুরের কাছে আসিয়াছিলেন ; তঁহার কাছে শুনিয়া এখন অনেকের ঠাকুরের বিষয় জানিতে কৌতুহল হইয়াছে। কিন্তু ঠাকুর যৈ ঈশ্বরাবতার একথা ওদেশের লোকেরা এখনও জানিতে পারে নাই, কেহ কেহ উহা শুনিলেও বিশ্বাস করে না । স্বামিজী। ও কথা বিশ্বাস করা কি সহজ ব্যাপার ? আমরা তাকে হাতে নেড়েচেড়ে দেখলুম, তার নিজ মুখে ঐ কথা