পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম বাল্পী । শিষ্য। মহাশয়, বুঝতে পারিলাম না। . স্বামিৰ্জী। বুঝে আর কি হবে ? যতটা পারিস, তাতে মন লাগিয়ে থাক। তা হলেই এই জগৎভেল্কী আপনি আপনি "ভেঙ্গে যাবে। তবে লেগে থাকৃতে হবে। কাম-কাঞ্চন থেকে মন সরিয়ে নিতে হবে, সদস্যুৎ বিচার সর্বদা কত্তে হবে, আমি দেহ নই-এইরূপ বিদেহ ভাবে অবস্থান কত্তে হবে, আমি সৰ্ব্বগ আত্মা-এইটী অনুভব কন্তে হবে। এইরূপে লেগে থাকার নামই পুরুস্কার। ঐক্কপ পুরুষকারের সাহায়ে তঁাতে নির্ভর আসবে।--সেটাই হ'ল পঞ্চম পুরুষাৰ্থ। স্বামিজী আবার বলিতে লাগিলেন, “তঁার রূপা তোদের প্রতি না থাকলে তোরা এখানে আসুবি কেন ? ঠাকুর বলতেন, যাদের প্রতি ঈশ্বরের রূপা হয়েছে, তারা এখানে আসবেই আসবে ; যেখানে সেখানে থাকু বা দাই করুক না কেন, এখানকার কথায়, এখানকার ভাবে সে অভিভূত হবেই হবে।’ তোর কথাই ভেবে * দেখনা, যিনি কৃপাবলে সিদ্ধ-যিনি প্রভুর কৃপা সম্যক বুঝেছেন, সেই নাগ মহাশয়ের সঙ্গলাভ কি ঈশ্বরের রূপা ভিন্ন হয় ? ‘অনেকজন্মসংসিদ্ধস্ততে যাতি পরাং গতিমূ- জন্মজন্মান্তরের সুকৃতি ২, থাকলে তবে অমন মহাপুরুষের দর্শন লাভ হয়। শাস্ত্রে উত্তম ভক্তির যে সকল লক্ষণ দেখা যায়, নাগ মহাশয়ের সেগুলি সব ফুট ২ বেরিয়েছে। ঐ যে বলে "তৃণাদপি সুনীচেন” তা একমাত্ৰ নাগ মহাশয়েই প্ৰত্যক্ষ করা গেল । তোদের বাঙ্গাল দেশ ধন্য-নাগ মহাশয়ের পদম্পশে পবিত্র হয়ে গেছে।” বলিতে বলিতে স্বামিজী মহাকবি শ্ৰীযুক্ত গিরিশচন্দ্ৰ যোষের «ჯტატ