স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । স্বামিজীকে অন্য সকল তরকারী আনিয়া দিবার পর যোগানন্দ, প্ৰেমানন্দ প্রমুখ অন্যান্য সন্ন্যাসী মহারাজগণকে অন্ন ব্যঞ্জন পরিবেশন করিতে লাগিল। শিষ্য কোনকালেই রন্ধনে পটু ছিল না, কিন্তু স্বামিজী আজ তাহার রন্ধনের ভূয়সী প্ৰশংসা করিতে লাগিলেন। কলিকাতার লোক মাছের সুজুনির নামে খুব ঠাট্টা তামাসা করে কিন্তু তিনি সেই মুক্ত নি খাইয়া খুগ্ৰী হইয়া বলিলেন—“এমন কখনও খাই নাই! কিন্তু মাছের জুলটা যেমন ঝাল হয়েছে—এমন BB BDDS DDD DDD SS BBD DS SDgDDS BB বলিলেন, “এটা ঠিক যেন বৰ্দ্ধমানী ধরণের হয়েছে।” অনন্তর দাধি সন্দেশ গ্ৰহণ করিয়া স্বামিজা ভোজন শেষ করিলেন এবং আচমনান্তে ঘরের ভিতর খাটের উপর উপবেশন করিলেন। শিষ্য স্বামিজীর সম্মুখে দালানে প্ৰসাদ পাইতে বসিল। স্বামিজী তামাক টানিতে টানিতে বলিলেন, “যে ভাল রাধতে পারে না, সে ভাল সাধু হতে পারে না-মন শুদ্ধ না হলে ভাল সুস্বাদু রান্না छ् न ° কিছুক্ষণ পরে চারিদিকে শাক ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল এবং শ্ৰীকণ্ঠের উলুধ্বনি শুনা যাইতে লাগিল। স্বামিজী বলিলেন, “ওরে গেরণ লেগেছে—আমি ঘুমোই, তুই আমার পা টিপে দে।” এই বলিয়া একটুকু তন্দ্ৰা অনুভব করিতে লাগিলেন। শিষ্যও তাহার পদসেবা করিতে করিতে ভাবিল, “এই পুণ্যক্ষণে গুরুপ সেবাই আমার গঙ্গাস্নান ও জপ ” এই ভাবিয়া শিষ্য শান্তমনে স্বামিজীর পদসেবা করিতে লাগিল। গ্রহণে সৰ্ব্বগ্রাস হইয়া ক্ৰমে চারিদিক সন্ধ্যাকালের মত তমসাচ্ছন্ন হইয়া গেল। مولاً
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।