স্বামি-শিষ্য-সংবাদ । তপস্বিনী মাতা তাহার পাঠশালা দৰ্শন করিতে আহ্বান করিয়া * তাহাকে চিঠি লিখিয়াছেন। ঐ পাঠশালা তখন চোরবাগানে ৬ রাজেন্দ্র মল্লিক মহাশয়ের বাড়ীর কিছু পূৰ্ব্বদিকে একটা দোতালা ভাড়াটিয়া বাড়ীতে ছিল। গাড়ী থামিলে দুই চারিজন ভদ্রলোক তাহাকে প্ৰণাম করিয়া উপরে লইয়া গেলেন এবং তপস্বিনী মাতা দাড়াইয়া স্বামিজীকে অভ্যর্থনা করিলেন। অল্পক্ষিণ পরেই তপস্বিনী মাতা, স্বামিজীকে সঙ্গে করিয়া একটী ক্লাসে লইয়া গেলেন। কুমারীরা দাড়াইয়া স্বামিজীকে অভ্যর্থনা করিল এবং মাতাজীর আদেশে প্রথমতঃ ‘শিবের ধ্যান” সুর করিয়া আবৃত্তি করিতে লাগিল। পরে, কিরূপ প্ৰণালীতে পাঠশালায় পূজাদি শিক্ষা দেওয়া হয়, মাতাজীর আদেশে কুমারীগণ তাঁহাই করিয়া দেখাইতে লাগিল। স্বামিজীও উৎফুল্লািনয়নে ঐ সকল দর্শন করিয়া অন্য একশ্রেণীর ছাত্রীদিগকে দেখিতে চলিলেন। বৃদ্ধ মাতাজী স্বামিজীর সঙ্গে সকল ক্লাস ঘূরিতে পারিবেন না বলিয়া স্কুলের দুই তিনটি শিক্ষককে আহবান করিয়া সকল ক্লাস ভাল করিয়া স্বামিজীকে দেখাইবার জন্য বলিয়া দিলেন। অনন্তর স্বামিজী সকল ক্লাস ঘুরিয়া পুনরায় মাতাজীর নিকটে ফিরিয়া আসিলে তিনি একজন কুমারীকে তথায় ভাকিয়া আনাইলেন এবং রঘুবংশের তৃতীয় অধ্যায়ের প্রথম শ্লোকটীর ব্যাখ্যা করিতে বলিলেন। ছাত্রীটীও উহার সংস্কৃতে ব্যাখ্যা করিয়া স্বামিজীকে শুনাইল। স্বামিজী শুনিয়া সন্তোষ প্রকাশ করিলেন, এবং স্ত্রীশিক্ষাপ্রচারকল্পে মাতাজীর অধ্যবসায় ও যত্নপরতার এতদূর সাফল্য দর্শন করিয়া তাহার ভূয়সী। প্ৰশংসা করিতে লাগিলেন । মাতাজী তাহাতে বিনীতভাবে বলিলেন, Ag
পাতা:স্বামি শিষ্য সংবাদ (পূর্ব কাণ্ড).djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।