পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১২১

Σ» ο εν श्राशैशैब वगै ७ ब्रध्न হইতে বিরত হও এবং আগে নিজেরা শিক্ষা লাভ কর । শ্রদ্ধাহীন বালকগণ, তোমরা কেবল কাগজে গোটাকতক লাইন আঁচড় কাটিতে পারে.আর কোন আহাম্মককে ধরিয়া উহা ছাপাইয়া দিতে পারো বলিয়া নিজদিগকে জগতের শিক্ষক—ভারতের মুখপাত্র বলিয়া মনে করিতেছ! তাই নয় কি ? এই কারণে আমি মাদ্রাজের সংস্কারকগণকে এইটুকু বলিতে চাই যে, র্তাহাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা আছে। তাহাদের বিশাল হৃদয়, তাহাদের স্বদেশপ্রীতি, দরিদ্র ও অত্যাচারিত জনগণের প্রতি র্তাহাদের ভালবাসার জন্য আমি তাহাদিগকে ভালবাসি । কিন্তু ভাই যেমন ভাইকে ভালবাসে অথচ তাহার দোষ দেখাইয়া দেয়, সেইভাবে আমি তাহাদিগকে বলিতেছি—র্তাহাদের কার্যপ্রণালী ঠিক নহে । শত বৎসর যাবৎ এই প্রণালীতে কার্য করিবার চেষ্টা করা হইয়াছে, কিন্তু তাহাতে কোন ফল হয় নাই। এখন আমাদিগকে অন্য কোন নূতন উপায়ে কাজ করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। এইটুকুই আমার বক্তব্য। ভারতে কি কখনও সংস্কারকের অভাব হইয়াছিল ? তোমরা তো ভারতের ইতিহাস পড়িয়াছ ? রামাম্বুজ কি ছিলেন ? শঙ্কর ? নানক ? চৈতন্য ? কবীর ? দাদু ? এই যে বড় বড় ধর্মাচার্যগণ ভারতগগনে অত্যুজ্জল নক্ষত্রের মতো একে একে উদিত হইয়া আবার অন্ত গিয়াছেন, ইহারা কি ছিলেন? রামাহজের হৃদয় কি নীচজাতির জন্য কাদে নাই ? তিনি কি সারাজীবন পারিয়াদিগকে পর্যন্ত নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থান দিতে চেষ্টা করেন নাই ? তিনি কি মুসলমানকে পর্যন্ত গ্রহণ করিতে চেষ্টা করেন নাই ? নানক কি হিন্দু মুসলমান উভয়ের সহিত আলোচনা ও পরামর্শ করিয়া সমাজে নূতন অবস্থা আনয়ন করিবার চেষ্টা করেন নাই ? তাহারা সকলেই চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং তাহদের কাজ এখনও চলিতেছে। তবে প্রভেদ এই—তাহারা আধুনিক সংস্কারকগণের মতো চীৎকার ও বাহাড়ম্বর করিতেন না। আধুনিক সংস্কারকগণের মতো তাহাদের মুখ হইতে কখন অভিশাপ উচ্চারিত হইত না, তাহাদের মুখ হইতে কেবল আশীৰ্বাদ বর্ষিত হইত। র্তাহারা কখনও সমাজের উপর দোষারোপ করেন নাই । তাহারা বলিতেন, হিন্দুজাতিকে চিরকাল ধরিয়া ক্রমাগত উন্নতি করিতে হইবে। ১ দক্ষিণভারতের অস্পৃশ্ব জাতিবিশেষ।