পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় জীবনে বেদাস্তের কার্যকারিতা Տ Հ Գ ধাবমান, সংসারের ক্ষণিক বৃথা মুখের জন্য মরিয়া হইয়া পাগলের মতো ছুটিতেছে । অন্ত আর এক স্থলে উপনিষদ সারথি ও তাহার অসংযত দুষ্ট অশ্বের সহিত মানবের এই ইন্দ্রিয়স্থখান্বেষণের তুলনা করিয়াছেন। মাহুষ এইরূপে জীবনের বৃথা স্বথামুসন্ধান-চেষ্টায় ছুটিতেছে। জীবনের উষাকালে মানুষ কত সোনার স্বপ্ন দেখিয়া থাকে ; কিন্তু শীঘ্রই বুঝিতে পারে, সেগুলি স্বপ্নমাত্র—বাধক্যে সে তাহার অতীত কর্মসমূহেরই রোমন্থন করিতে থাকে, পুনরাবৃত্তি করিতে থাকে, কিন্তু কিসে এই ঘোর সংসারজাল হইতে বাহির হইবে, তাহার কোন উপায খুজিয়া পায় না। ইহাই মানুষের নিয়তি। কিন্তু সকল মাহুষেরই জীবনে সময়ে সময়ে এমন শুভ মুহূর্ত আসিয়া থাকে—গভীরতম শোকে, এমন কি গভীরতম আনন্দের মধ্যেও মানুষের এমন শুভক্ষণ আসিয়া উপস্থিত হয়, যখন সেই সূর্যালোক-অবরোধকারী মেঘের খানিকটা যেন ক্ষণকালের জন্য সরিয়া যায় । তখন আমরা আমাদের এই সীমাবদ্ধ ভাব সত্ত্বেও ক্ষণকালের জন্য সেই সর্বাতীত সত্তার চকিতবং দর্শনলাভ করি ; দূরে দূরে—পঞ্চেন্দ্রিয়াবদ্ধ জীবনের বহু দূরে— এই সংসারের ব্যর্থ ভোগ ও স্বখদুঃখ হইতে অনেক দূরে, দূরে দূরে—প্রকৃতির পরপারে—ইহলোকে বা পরলোকে আমরা যে মুখভোগের কল্পনা করিয়া থাকি, তাহা হইতে বহু দূরে, বিত্তৈষণা লোকৈষণা প্রজৈষণা হইতে বহু দূরে— তখন মানুষ ক্ষণিকের জন্য দিব্যদৃষ্টি লাভ করিয়া স্থিরভাব অবলম্বন করে, সে তখন বৃক্ষের উপরিভাগে অবস্থিত অপর পক্ষীটিকে শান্ত ও মহিমময় অবলোকন করে,—সে দেপে, পক্ষীটি স্বাদু অ-স্বাছ কোন ফল ভক্ষণ করিতেছে না—নিজ মহিমায় নিজে বিভোর, আত্মতৃপ্ত –যেমন গীতায় উক্ত হইয়াছে : - যস্বাত্মরতিরেব স্তাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানব: | আত্মন্তেব চ সস্তুষ্টস্তস্ত কার্যং ন বিদ্যতে ॥ —যিনি আত্মরতি, আত্মতৃপ্ত ও আত্মাতেই সন্তুষ্ট, তাহার আর কোন কার্য অবশিষ্ট থাকে না । তিনি আর কেন বৃথা কার্য করিয়া সময় কাটাইবেন ? একবার চকিতত্ত্বাবে দর্শনের পর মাহৰ জাবার ভুলিয়া যায়, আবার সংসারবৃক্ষে স্বাছ অস্বাদু ফল ভোজন করিতে থাকে—তখন আর তাহার কিছুই স্মরণ থাকে না । * আবার হয়তো কিছুদিন পরে সে অার একুবার পুর্বের ন্যায়