পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় জীবনে বেণ্ড্রান্তের কার্যকারিত। ১২৯ তখনও তাহার জাতীয় তেজবীর্য একবিন্দুও হারায় নাই । ইহার প্রতি পৃষ্ঠা অমাদিগকে তেজবীর্যের কথা বলিয়া থাকে। এই বিষয়টি বিশেষভাবে স্মরণ রাখিতে হইবে, সমগ্র জীবনে আমি এই মহাশিক্ষা পাইয়াছি—উপনিষদ বলিতেছেন, হে মানব, তেজম্বী হও, দুর্বলতা পরিত্যাগ কর। মানুষ কাতরভাবে জিজ্ঞাসা করে, তাহার দুর্বলতা কি নাই ? উপনিষদ বলেন, আছে বটে, কিন্তু অধিকতর দুর্বলতা দ্বারা কি এই দুর্বলতা দূর হইবে ? ময়ুল দিয়া কি ময়লা দূর হইবে ? পাপের দ্বার। কি পাপ দূর করা যায় ? উপনিষদ বলিতেছেন, হে মানব, তেজস্বী হও, তেজস্বী হও, উঠিয় দাড়াও, বীর্ষ অবলম্বন কর । জগতের সাহিত্যের মধ্যে কেবল উপনিষদেই ‘অভীঃ’ এই শব্দ বার বার ব্যবহৃত হইয়াছে—আর কোন শাস্ত্রে ঈশ্বর বা মানবের প্রতি তুভী:’ বা ভয়শূন্ত এই বিশেষণ প্রযুক্ত হয় নাই । ‘অভীঃ –ভয়শূন্ত হও । আমার মনশ্চক্ষের সম্মুখে সুদূর অতীতের সেই পাশ্চাত্যদেশীয় সম্রাট আলেকজাণ্ডারের চিত্র উদিত হইতেছে । আমি যেন দেখিতেছি—সেই দোর্দণ্ড প্রতাপ সম্রাট সিন্ধুনদের তটে দাড়াইয় অরণ্যবাসী, শিলাখণ্ডে উপবিষ্ট, সম্পূর্ণ উলঙ্গ, স্থবির আমাদেরই জনৈক সন্ন্যাসীর সহিত আলাপ করিতেছেন ; সম্রাট সন্ন্যাসীর অপুর্বজ্ঞানে বিস্মিত হইয়। র্তাহাকে অর্থ-মানের প্রলোভন দেখাইয়া গ্ৰীসদেশে অসিতে আহবান করিতেছেন। সন্ন্যাসী অর্থ-মানাদি প্রলোভনের কথা শুনিয়া একটু হাসিয়া গ্রীসে যাইতে অস্বীকার করিলেন ; তখন সুম্রাট নিজ রাজ প্রতাপ প্রকাশ করিয়া বলেন, "যদি আপনি না আসেন, আমি আপনাকে মারিয়া ফেলিব।’ তথন সন্ন্যাসী উচ্চহস্ত করিয়া বলিলেন, ‘তুমি এখন যেরূপ বলিলে, জীবনে এরূপ মিথ্যা কথা আর কখনও বলে নাই । আমাকে কে বধ .করিতে পারে ? জড়জগতের সম্রাট, তুমি আমায় মারিবে ? তাহ। কথমই হইতে পারে মা ! অ’মি চৈতন্যস্বরূপ, অজ ও অক্ষয় । আমি কখন জন্মাই নাই, কখন মরিবও না! আমি অনন্ত, সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ ! তুমি শিশু, তুমি আমায় মারিবে ?’ ইহাই প্রকৃত তেজ, ইহাই প্রকৃত বীর্য । হুে বন্ধুগণ, হে স্বদেশবাসিগণ, আমি যতই উপনিষদ পাঠ করি, ততই আমি তোমাদের জন্য অঞ্জবিসর্জন করিয়া থাকি ; কারণ উপনিষদ্ভুক্ত এই তেজস্বিতাই আমাদের বিশেষড়াবে জীবনে পরিণত করা আবগুক হইয়া পড়িয়াছে। শক্তি, শক্তি—ইহাই আমাদের চাই । শক্তি আমাদের বিশেষ • আবখ্যক । কে

  • • సె