ভারতীয় মছুাপুরুষগণ S 8 & ঈশ্বরাবতার-সম্বন্ধে আমাদের মোটামুটি ধারণা এই । দ্বিতীয় শ্রেণীর আর এক প্রকাব মহাপুরুষ আছেন ; বেদে ঋষি’ শব্দের পুনঃ পুন: উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়, আর আজকাল ইহা একটি চলিত শব্দ হইয়া পড়িয়াছে, —ঋষিবাক্যের বিশেষ প্রামাণ্য। আমাদিগকে ইহার তাৎপর্য বুঝিতে হইবে। ‘ঋষি’ শব্দের অর্থ মন্ত্রদ্রষ্ট অর্থাৎ যিনি কোন তত্ত্বের সাক্ষাৎ করিয়াছেন । অতি প্রাচীন কাল হইতেই এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইয়াছিল যে, ধর্মের প্রমাণ কি ? বহিরিস্ক্রিয় দ্বারা ধর্মের সত্যতা প্রমাণিত হয় না—ইহা অতি প্রাচীন কাল হইতেই ঋষিগণ বলিয়া গিয়ছেন ; যতো বাচো নিবর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ। —মনের সহিত বাক্য র্যাহাকে না পাইয়া ফিরিয়া আসে। ন তত্র চক্ষুর্গচ্ছতি ন বাগগচ্ছতি নো মন ॥২—সেখানে চক্ষু যাইতে পারে না, বাক্যও যাইতে পাবুে না, মনও নহে । শত শত যুগ ধরিয়া ইহাই ঋষিদের ঘোষণা । বাহ প্রকৃতি আত্মার অস্তিত্ব, ঈশ্বরের অস্তিত্ব, অনন্ত জীবন, মানবের চরম লক্ষ্য প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম। এই মনের সর্বদা পরিণাম হইতেছে, সর্বদাই যেন উহার প্রবাহ চলিয়াছে, উহা সসীম, উহা যেন খণ্ড খণ্ড ভাবে ভাঙিয়া চুরিয়া রহিয়াছে। উহা কিরূপে সেই অনন্ত অপরিবর্তনীয় অখণ্ডু অবিভাজ্য সনাতন বস্তুর সংবাদ দিবে ?—কখনই দিতে পারে না । আর যখনই মানবজাতি চৈতন্যহীন জড়বস্তু হইতে এই-সকল প্রশ্নের উত্তর পাইতে বৃথা চেষ্টা করিয়াছে, ইতিহাসই জানে তাহার ফল কতখানি অশুভ হইয়াছে। তবে ঐ বেদোক্ত জ্ঞান কোণা হইতে আসিল ? ঋষিত্ব প্রাপ্ত হইলে ঐ জ্ঞানলাভ হয়, ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে হয় না ; ইন্দ্রিয়জ্ঞানই কি মামুষের সর্বস্ব ? কে ইহা বুলিতে সাহসী হইবে ? আমাদের জীবনে—আমাদের প্রত্যেকেরই জীবন এমন সব মুহূর্ত আসে, হয়তো আমাদের সম্মুখেই আমাদের কোন প্রিয়জনের মৃত্যু হইল অথবা আমরা অন্য কোনরূপ আঘাত পাইলাম, অথবা অতিশয় আনন্দের কিছু ঘটিল ; এই-সব অবস্থায় সময়ে সময়ে মনটা যেন একেবারে স্থির ইয়া যায়। অনেক সময়ে অনেক অবস্থায় এমনও ঘটে যে, মনটা শাস্ত সমাহিত হইয়া ক্ষণুকালের জন্য উহার প্রকৃত স্বরূপ দেখিতে পায়, সেই ১ তৈত্তিরীয় উপনিষদ, ২iঃ ২ কেন উপনিষদ, ১৩
- గా ' కి