পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় মহাপুরুষগণ S\లు পাপী, হিন্দু মুসলমান, পবিত্র অপবিত্র, বেখ্যা পতিত—সকলেই তাহার ভালবাসার ভাগ পাইত, সকলকেই তিনি কৃপা করিতেন ; যদিও তৎপ্রবর্তিত সম্প্রদায়ের অত্যন্ত অবনতি হইয়াছে, যেমন কালপ্রভাবে সকলেরই অবনতি হইয়া থাকে, তথাপি তাহার সম্প্রদায় দরিদ্র দুর্বল জাতিচু্যত পতিত –সমাজে পরিত্যক্ত সকল ব্যক্তিরই আশ্রয়স্থল ৷ কিন্তু আমাকে সত্যের অনুরোধে স্বীকার করিতে হইবে ষে, দার্শনিক সম্প্রদায়সমূহেই আমরা অদ্ভুত উদার ভাব দেখিতে পাই। শঙ্করমতাবলম্বী কেহই এ-কথা স্বীকার করে না যে, ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বাস্তবিক কোন ভেদ আছে। এদিকে কিন্তু জাতির ব্যাপারে শঙ্কর অত্যন্ত বর্জনের ভাব পোষণ করিতেন । প্রত্যেক বৈষ্ণবাচার্যের ক্ষেত্রে আমরা জাতির প্রশ্নে অপুর্ব উদারত। দেখিতে পাই, কিন্তু ধর্মসম্বন্ধে তাহাদের মত সঙ্কীর্ণ । একজনের ছিল বিরাট মস্তিষ্ক, অপরের বিশাল হৃদয় । এখন এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাবের সময় হইয়াছিল, যাহার মধ্যে একাধারে এইরূপ হৃদয় ও মস্তিষ্ক থাকিবে, যিনি একাধারে শঙ্করের উজ্জল মেধা ও চৈতন্যের বিশাল অনস্ত হৃদয়ের অধিকারী হইবেন, যিনি দেখিবেন সকল সম্প্রদায় এক মহং ভাবে, ঈশ্বরের শক্তিতে অকুপ্রাণিত, দেখিবেন প্রত্যেক প্রাণীতে সেই ঈশ্বর বিদ্যমান, র্যাহার হৃদয় ভরতে বা ভারতের বাহিরে দরিদ্র দুর্বল পতিত —সকলের জন্য কাদিবে, অথচ র্যাহার বিশাল বুদ্ধি এমন মহং তত্ত্বসকল উদ্ভাবন করিবে, যেগুলি ভারতে বা ভারতের বাহিরে বিরোধী সম্প্রদায়সমূহের সমন্বয়সাধন করিবে এবং এইরূপ বিস্ময়কব সমন্বয়ের দ্বার। হৃদয় ও মস্তিষ্কের সামঞ্জস্যপুর্ণ এক সার্বভৌম ধর্ম প্রকাশ করিবে । এইরূপ ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং আমি কয়েক বৎসর তাহার চরণতলে বসিয়া শিক্ষা পাইবার সৌভাগ্যলাভ করিয়াছিলাম। এইরূপ এক ব্যক্তির জন্মগ্রহণ করিবার সময় হইয়াছিল, প্রয়োজন হইয়াছিল ; আর অদ্ভুত ব্যাপার এই, তাহার সমগ্র জীবনের কার্য এমন এক শহরের নিকট অতুষ্ঠিত হয়, যে-শহর পাশ্চাত্যভাবে উন্মত্ত হইয়াছিল--ভারতের অন্যান্য শহর অপেক্ষ বেশী পরিমাণেই পাশ্চাত্যভাবাপন্ন হইয়াছিল । পুথিগত বিষ্ঠা তাহার কিছুই ছিল না ; মহামনীষাসম্পন্ন হইয়াও তিনি নিজের নামটা পর্যন্ত লিখিতে পারিতেন না, কিন্তু প্রত্যেকে—আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের 盤ー> >