পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের উপুস্থিত কর্তব্য ∶ ግሯጭ অর্থ মন্ত্র অর্থাৎ•তত্ত্বসমূহ যিনি সাক্ষাং করিয়াছেন—কেবল বাক্যবাগীশ, শাস্ত্রপাঠক, পুণ্ডিত বা শব্দবিহু নহে—তত্ত্ব সাক্ষাৎ করিয়াছেন, এমন ব্যক্তি । “নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যে ন মেধয়া ন বহুনা শ্রীতেন ।”১ —বহু বাক্যব্যয় দ্বারা, অথবা মেধা দ্বারা, এমন কি বেদপাঠ দ্বারাও আত্মাকে লাভ করা যায় না । বেদ নিজে একথা বলিতেছেন। তোমরা কি অন্য কোন শাস্ত্রে এরূপ নিভাক বাণী শুনিতে পাও—‘বেদপাঠের দ্বারাও আত্মাকে লাভ করা যায় না ? হৃদয় খুলিয়া প্রাণ-ভরিয়া তাহাকে ডাকিতে হইবে। তীর্থে বা মন্দিরে গেলে, তিলকধারণ করিলে অথবা বস্ত্রবিশেষ পরিলে ধর্ম হয় না। তুমি গায়ে চিত্রবিচিত্র করিয়া চিতাবাঘটি সাজিয়া বসিয়া থাকিতে পারে, কিন্তু যতদিনু পর্যন্ত না তোমারু হৃদয় খুলিতেছে, যতদিন পর্যন্ত না ভগবানকে উপলব্ধি করিতেছ, ততদিন সব বৃথা । হৃদয় যদি রাঙিয়া যায়, তবে আর বাহিরের রঙের আবশ্বক নাই। ধর্ম অনুভব করিলে তবেই কাজ হইবে । বাহিরের রঙ আড়ম্বরাদি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ধর্মজীবনে সাহায্য করে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলির উপযোগিতা আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলি থাকুক, ক্ষতি নাই ; কিন্তু সেগুলি আবার অনেক সময় শুধু অনুষ্ঠানমাত্রে পর্যবসিত হইয়া ষায় ; তখন তাহারা ধৰ্মজীবনে সাহায্য না করিয়া বরং বিঘ্ন করে ; লোকে এই বাহ অনুষ্ঠানগুলির সহিত ধর্মকে এক করিয়া বসে। তখন মন্দিরে যাওয়া ও পুরোহিতকে কিছু দেওয়াই ধৰ্মজীবন হইয়া দাড়ায় ; এইগুলি অনিষ্টকর ; ইহা যাহাতে বন্ধ হয়, তাহা করা উচিত। আমুদের শাস্ত্র বার বার বলিতেছেন, ইন্দ্ৰিয়-জ্ঞানের দ্বারা কখনও ধর্মাহুভূতি লাভ করা যায় না। যাহা আমাদিগকে সেই অক্ষর পুরুষের সাক্ষাৎ করায় তাহাই ধৰ্ম ; আর এই ধর্ম সকলেরই জন্য। যিনি লেই অতীন্দ্রিয় সত্য সাক্ষাং করিয়াছেন, যিনি আত্মার স্বরূপ উপলব্ধি করিয়াছেন, যিনি ভগবানকে অনুভব করিয়াছেন, তাহাকে সর্বভূতে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, তিনি ঋষি হইয়াছেন। সহস্ৰ বংসর পুর্বে যিনি এইরূপ উপলব্ধি করিয়াছেন— তিনিও যেমন ঋষি, সহস্ৰ বৎসর পরেও যিনি উপলব্ধি করিবেন, তিনিও তেমনি ঋষি। আর যতদিন না তোমরা ঋষি হইতেছ, ততদিন তোমাদের ধর্মজীবন শুরু

  • कठे ७*, s॥२२७