পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3y a স্বামীজীর বাণী ও রচনা হইবে না ; তখনই তোমাদের প্রকৃত ধর্ম আরম্ভ হইবে, এখন কেবল প্রস্তুত - হইতেছ মাত্র ; তখনই তোমাদের ভিতর ধর্মের প্রকাশ হইবে, এখন কেবল মানসিক ব্যায়াম ও শারীরিক যন্ত্রণাভোগ করিতেছ মাত্র। অতএব আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে যে, আমাদের ধর্ম স্পষ্ট ভাষায় বলিতেছেন, যে কেহ মুক্তিলাভ করিতে চায়, তাহাকে এই ঋষিত্ব লাভ করিতে হইবে, মন্ত্রদ্রষ্ট। হইতে হইবে, ঈশ্বরদর্শন করিতে হইবে । ইহাই মুক্তি। আর ইহাই যদি আমাদের শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত হয়, তবে বুঝা যাইতেছে যে, আমরা নিজে নিজেই অতি সহজে আমাদের-শাস্ত্র বুঝিতে, পারিব, নিজেরাই উহার অর্থ বুঝিতে পারিব, উহার মধ্য হইতে যেটুকু আমাদের প্রয়োজন তাহাই গ্রহণ করিতে পারিব, নিজে নিজেই সত্য বুঝিতে পারিব, এবং তাহাই করিতে হইবে। আবার প্রাচীন ঋষিগণ যাহা করিয়া গিয়াছেন, তাহার জন্য তাহাদিগকে সন্মান দেখাইতে হইবে। এই প্রাচীনগণ মহাপুরুষ ছিলেন, কিন্তু আমরা আরও বড় হইতে চাই। তাহারা অতীতকালে বড় বড় কাজ করিয়াছিলেন, আমাদিগকে র্তাহাদের অপেক্ষাও বড় বড় কাজ করিতে হইবে । প্রাচীন ভারতে শত শত ঋষি ছিলেন, এখন লক্ষ লক্ষ ঋষি হইবেন, নিশ্চয় হইবেন । আর তোমাদের প্রত্যেকেই যত শীঘ্র ইহা বিশ্বাস করিবে, ভারতের পক্ষে ও সমগ্র পৃথিবীর পক্ষে ততই কল্যাণ । তোমরা যাহা বিশ্বাস করিবে, তাহাই হইবে । তোমরা যদি নিজেদের অকুতোভয় বলিয়া বিশ্বাস কর, তবে অকুতোভয় হইবে। যদি সাধু বলিয়া বিশ্বাস কর, কালই তোমরা সাধুরূপে পরিণত হইবে। কিছুই তোমাদিগকে বাধা দিতে পারিবে না। কারণ, আমাদের আপাতবিরোধী সম্প্রদায়গুলির ভিতর যদি একটি সাধারণ মতবাদ থাকে, তবে তাহ! এই ২ ‘অচ্যুত্তার মধ্যে পুর্ব হইতেই মহিমা, তেজ ও পবিত্রত রহিয়াছে। কেবল রামামুজের মতে আত্মা সময়ে সময়ে সঙ্কুচিত হন ও সময়ে সময়ে বিকাশপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন, আর শঙ্করের মতে ঐ সঙ্কোচ ও বিকাশ ভ্রমমাত্র। এ প্রভেদ থাকুক, কিন্তু সকলেই তো স্বীকার করিতেছেন—ব্যক্তই হউক, আর অব্যক্তই হউক, যে-কোন আকারে হউক, ঐ শক্তি রহিয়াছে। আর যত শীঘ্র উহা বিশ্বাস করা যায়, ততই তোমাদের কল্যাণ। সব শক্তি তোমাদের ভিতরে রহিয়াছে । তোমরা সব করিতে পাত্ত্বো । ইহা বিশ্বাস কর । মনে করিও না-তোমর। দুর্বল। আজকাল,অনেকে যেমন নিজেদের আধপাগলা বলিয়া মনে করে, সেরূপ