পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ভবিষ্কং ציל כי মনে করিও নাম অপরের সাহায্য ব্যতীতও তোমরা সব করিতে পারে । সব শক্তি তোমাদের ভিতর রহিয়াছে ; উঠিয়া দাড়াও এবং তোমাদের ভিতর ষে দেবত্ব লুক্কায়িত রহিয়াছে, তাহ প্রকাশ কর । ভারতের ভবিষ্যৎ মাত্রীজে এই শেষ বক্তৃতাটি একটি বৃহৎ ভাবুর মধ্যে প্রদত্ত হয়-প্রায় চারি সহস্ৰ শ্রোতার সমাগম হইয়াছিল । এই সেই প্রাচীনভূমি, অন্যান্য দেশে যাইবার পূর্বেই তত্ত্বজ্ঞান যে স্থানকে নিজ প্রিয় বাসভূমিরূপে নির্দিষ্ট করিয়াছিল ; এই সেই ভারতভূমি, যে ভূমির আধ্যাত্মিক প্রবাহ জড়রাজ্যে সাগরসদৃশ প্রবহমান স্রোতস্বতীসমূহের তুল্য, যেখানে অনন্ত হিমালয় স্তরে স্তরে উখিত হইয়া হিমশিখররাজি দ্বারা যেন স্বৰ্গ-রাজ্যের রহস্তনিচয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছে। এই সেই ভারত, যে দেশের মৃত্তিক শ্রেষ্ঠ ঋষিমুনিগণের পদধূলিতে পবিত্র হইয়াছে। এইখানেই সর্বপ্রথম অন্তর্জগতের রহস্য-উদঘাটনের চেষ্ট হইয়াছিল, এইখানেই মানবমন নিজ স্বরূপ অনুসন্ধানে প্রথম অগ্রসর হইয়াছিল । এইখানেই জীবাত্মার অমরত্ব, অন্তর্যামী ঈশ্বর এবং জগৎপ্ৰপঞ্চে ও মানবে ওতপ্রোতভাবে অবস্থিত পরমাত্মা-সম্বন্ধীয় মতবাদেরু প্রথম উদ্ভব। ধর্ম ও দর্শনের সর্বোচ্চ আদর্শসকল এইখানেই চরম পরিণতি লাভ করিয়াছিল। এই সেই ভূমি, যেখান হইতে ধর্ম ও দার্শনিক তত্ত্বসমূহ বন্যার মতো প্রবাহিত হইয়া সমগ্র পৃথিবীকে প্লাবিত করিয়াছে, আর এখান হইতেই আবার সেইরূপ তরঙ্গ উখিত হইয়া নিস্তেজ জাতিসমূহের ভিতর জীবন ও তেজ সঞ্চার করিবে। এই সেই ভারত, যাহা শত শতাব্দীর অত্যাচার, শত শত বৈদেশিক আক্রমণ, শত প্রকার রীতিনীতির বিপর্যয় সহ করিয়াও অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। এই সেই ভূমি, যাহা নিজ অবিনাশী বীর্ষ ও জীবন লইয়া পর্বত অপেক্ষ দৃঢ়তর ভাবে “এখনও দণ্ডায়মান। আমাদের শাস্ত্রোপদিষ্ট আত্মা যেমন অনাদি অনন্ত ও অমৃতস্বরূপ, আমাদের এই ভারতভূমির জীবনও সেইরূপ। আর আমরা এই দেশের সন্তান। . - ●