পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ভবিষ্যৎ 3డి

প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহারের প্রয়োজন নাই, কিন্তু তাহাদিগকে বেদাদি শিক্ষা দিবে না । ক্রমশঃ আমরা আরও আধুনিক, বিশেষতঃ যেগুলি এই যুগের জন্য বিশেষভাবে উপদিষ্ট, সেই-সকল স্মৃতিতে দেখিতে পাই—“যদি শূদ্ৰগণ ব্রাহ্মণের আচার-ব্যবহার অনুকরণ করে, তাহারা ভালই করিয়া থাকে, তাহাদিগকে উৎসাহ দেওয়া উচিত ? এইরূপে ক্রমশ: যতই দিন যাইতেছে, ততই শূদ্রদিগকে বেশী বেশী অধিকার দেওয়া হইতেছে। এইরূপে মূল কার্যপ্রণালীর এবং বিভিন্ন সময়ে উহার বিভিন্ন পরিণতির, অথবা কিরূপে বিভিন্ন শাস্ত্র অতুসন্ধান করিয়া উহাদের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাইবে, তাহ দেখাইবার সময় আমার নাই ; কিন্তু এ বিষয়ে স্পষ্ট ঘটনা বিচার করিয়া দেখিলেও বুঝিতে পারা যায় যে, সকল জাতিকেই ধীরে ধীরে উঠতে হইবে । এখনও যে সহস্ৰ সহস্ৰ জাতি রহিয়াছে, তাহদের মধ্যে কতকগুলি আবার । ব্রাহ্মণজাতিতে উন্নীত হইতেছে । কারণ জাতিবিশেষ যদি নিজদিগকে ব্রাহ্মণ বলিয়া ঘোষণা করে, তাহাতে কে কি বলিবে ? জাতিভেদ যতই কঠোর হউক, উহা এইরূপেই স্বঃ হইয়াছে । মনে কর, কতকগুলি জাতি রহিয়াছে— প্রত্যেক জাতিতে দশ হাজার লোক । উহারা যদি সকলে মিলিয় নিজদিগকে ব্রাহ্মণ বলিয়া ঘোষণা করে, তবে কেহই তাহাদিগকে বাধা দিতে পারে না। আমি নিজ জীবনে ইস্থা দেখিয়াছি। কতকগুলি জাতি শক্তিসম্পন্ন হইয় উঠে, আর যখনই তাহারা সকলে একমত হয়, তখন তাহাদিগকে আর কে বাধ৷ میسے দিতে পারে? কারণ আর যুাহাই হউক, প্রত্যেক জাতির সহিত অপর জাতির কোন সম্পর্ক নাই। এক জাতি অপর জাতির কাজে হস্তক্ষেপ করে না—এমন কি, এক জাতির বিভিন্ন শাখাগুলিও পরস্পরের কাজে হস্তক্ষেপ করে না । , শঙ্করাচার্য প্রভৃতি যুগাচার্য—জাতিগঠনকারী ছিলেন । তাহার যে-সব অদ্ভুত ব্যাপার করিয়াছিলেন, তাহা আমি তোমাদিগকে বলিতে পারি না, আর তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ, আমি যাহা বলিতে যাইতেছি, তাহাতে বিরক্ত হইতে পারো । কিন্তু আমার ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতায় আমি ইহার সন্ধান পাইয়াছি, আর আঁমি ঐ গবেষণায় অদ্ভুত ফল লাভ করিয়াছি । সময়ে সময়ে তাহারা দলকে দল বেলুচি লইয়া এক মুহূর্তে তাহাদিগকে ক্ষত্রিয় করিয়া ফেলিতেন ; দলকে দল জেলে লইয়া এক মুহূর্তে ব্রাহ্মণ করিয়া ফেলিতেন। তাহারা সকলেই 6 -> *