পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెప్త్ স্বামীজীর বাণী ও রচনা করিয়াছে, সে-ই ভারতে আসিয়া আমাদিগকে পদদলিত করিয়াছে। ইহাতেই আমাদের এইরূপ অবনতি ঘটিয়াছে । * আর আমাদের সর্বপ্রথম কার্য এই যে, আমাদের পুর্বপুরুষগণ যে নিরাপদ স্থানে ধৰ্মরূপ অপুর্ব রত্বরাজি গোপনে সঞ্চিত করিয়া রাখিয়াছিলেন, সেগুলি বাহির করিয়া প্রত্যেককে দিতে হইবে এবং ব্রাহ্মণকেই এই কার্য আগে করিতে হইবে । বাঙলাদেশে একটি প্রাচীন বিশ্বাস আছে—যে গোখুরা সাপ কামড়াইয়াছে, সে যদি নিজেই নিজের বিষ উঠাইয়া লয়, তবেই রোগী বাচিবে । স্থতরাং ব্রাহ্মণকে তাহার নিজের বিষ নিজেকেই উঠাইয়া লইতে হইবে । ব্রাহ্মণেতর জাতিকে আমি বলিতেছি—অপেক্ষ কর, ব্যস্ত হইও না । স্থবিধ পাইলেই ব্রাহ্মণজাতিকে আক্রমণ করিতে যাইও না। কারণ আমি তোমাদিগকে দেখাইয়াছি, তোমরা নিজেদের দোষেই কষ্ট পাইতেছ। তোমাদিগকে আধ্যাত্মিকতা অর্জন করিতে ও সংস্কৃত শিখিতে কে নিষেধ করিয়াছিল ? এতদিন তোমরা কি করিতেছিলে ? কেন তোমরা এতদিন উদাসীন ছিলে ? আর অপরে তোমাদের চেয়ে অধিক মস্তিষ্ক, অধিক বীর্য, অধিক সাহস ও অধিক ক্রিয়াশক্তির পরিচয় দিয়াছে বলিয়| এখন বিরক্তি প্রকাশ কর কেন ? সংবাদপত্রে এই-সকল বাদ-প্রতিবাদ, বিবাদ-বিসংবাদে বৃথা শক্তিক্ষয় না করিয়া, নিজগৃহে এইরূপ বিবাদে লিপ্ত না থাকিয়া সমুদয় শক্তি প্রয়োগ করিয়া ব্রাহ্মণ যে-শিক্ষাবলে এত গৌরবের অধিকারী হইয়াছেন, তাহ! অর্জন করিবার চেষ্টা কর, তবেই তোমাদের উদেন্ত সিদ্ধ হইবে। তোমরা ংস্কৃত-ভাষায় পণ্ডিত হও না কেন ? তোমরা ভারতের সকল বর্ণের মধ্যেT সংস্কৃতশিক্ষা-বিস্তারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় কর না কেন ? আমি তোমাদিগকে ইস্কই জিজ্ঞাসা করিতেছি। যখনই এইগুলি করিবে, তখনই তোমরা ব্রাহ্মণের তুল্য হইবে । ভারতে শক্তিলাভের ইহাই রহস্য। i. ভারতে সংস্কৃতভাষা ও মর্যাদা সমার্থক । সংস্কৃতভাষায় জ্ঞান লাভ হইলে কেহই তোমার বিরুদ্ধে কিছু বলিতে সাহসী হইবে না । ইহাই একমাত্র রহস্য —এই পথ অবলম্বন কর । অদ্বৈতবাদের প্রাচীন উপমার সাহায্যে বলিতে গেলে বলিতে হয়, সমগ্র জগৎ নিজ মায়ায় নিজে মুগ্ধ হইয়া রহিয়াছে। সঙ্কল্পই জগতে অমোঘ শক্তি। দৃঢ়-ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন পুরুষের শরীর হইতে যেন এক প্রকার তেজ নির্গত হইতে থাকে ; আর র্তাহার নিজের মন ভাবের ঘে স্তরে অবস্থিত,