পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> リデ স্বামীজীর রাণী ও রচনা খুবই স্বাভাবিক ; কারণ ক্ষুদ্র সংহত জাতিগুলির বিভিন্ন ভাধ ও ইচ্ছাশক্তিকে কেন্দ্রীভূত করা অতি সহজ—আর তাহাতেই তাহারা সহজে উন্নত হুইয়। থাকে । আর যে জাতির লোকসংখ্যা যত অধিক, তাহার পক্ষে সমবেতভাবে কার্য পরিচালনা করা তত কঠিন । উহা যেন একটা অনিয়ন্ত্রিত জনতা, তাহার। কখন একত্র মিলিতে পারে না । যাহা হউক, এই সব মত-বিরোধের ইতি করিতে হইবে । g আমদের ভিতর আর একটি দোষ আছে। ভদ্রমহিলাগণ, আমায় ক্ষম করিবেন, কিন্তু শত শতাব্দী দাসত্বের ফলে আমরা যেন একটা স্ত্রীলোকের জাতিতে পরিণত হইয়াছি । এদেশে বা অপর যে-কোন দেশে যাও, দেখিলে—তিনজন স্ত্রীলোক যদি পাচ মিনিটের জন্য একত্র হইয়াছে তো বিবাদ করিয়া বসিয়াছে ! পাশ্চাত্য-দেশগুলিতে বড় বড় সভা করিয়া তাহারা নারীজাতির ক্ষমতা ও অধিকার-ঘোষণায় আকাশ ফাটাইয়া দেয়--তারপর দুইদিন যাইতে না যাইতে পরম্পর বিবাদ করিয়া বসে, তখন কোন পুরুষ আসিয়া তাহাদের সকলের উপর প্রভুত্ব করিতে থাকে । সমগ্র জগতেই এইরূপ দেখা যায় – নারীজাতিকে শাসনে রাথিতে এখনও পুরুষের প্রয়োজন ! আমরা এইরূপ স্ত্রীলোকের তুল্য হইয়াছি। যদি কোন নারী আসিয়া নারীর উপর নেতৃত্ব করিতে যায়, অমনি সকলে মিলিয়া তাহার সম্বন্ধে কঠোর সমালোচনা করিতে থাকে, তাহাকে ছিডিয়া ফেলে, তাহাকে দাড়াইতে দেয় না, জোর করিয়া বসাইয়া দেয় । কিন্তু যদি একজন পুরুষ আসিয়া তাহাদের প্রতি একটু, কর্কশ ব্যবহার করে, মধ্যে মধ্যে গালমন্দ করে, তবেই তাহারা মনে করে, ঠিক হইয়াছে। তাহার। যে ঐৰূপ ব্যবহারে—ঐরূপ প্রভাবে অভ্যস্ত হইয়াছে ! সমগ্র জগংই জাদুকর ও সম্মোহনকারী দ্বারা পূৰ্ণ – শক্তিশালী ব্যক্তি সর্বদ। এইরূপে অপরকে বশীভূত করিতেছে। যদি আমাদের দেশে একজন কেহ বড় হইতে চেষ্টা করে, তোমরা সকলেই তাহাকে নামাইয়া আনিতে চেষ্টা কর, কিন্তু একজন বিদেশী আসিয়া যদি লাথি মারে, মনে কর—ঠিকই হইয়াছে। তোমর। ইহাতে অভ্যস্ত হইয়াছ। এই দাসত্বতিলক কপালে লইয়া তোমরা আবার বড় বড় নেতা হইতে চাও? অতএব দাস-মনোভাব ছাড়িয়া দাও। আগামী পঞ্চাশ বৎসর আমাদের গরীয়সী ভারতমাতাই আমাদের আরাধ্য দেবতা হউন, অন্যান্য অকেজো দেবতা এই কয়েক বৎসর ভুলিলে কোন