পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ভবিষ্কং సిసె ক্ষতি নাই। অন্যান্য দেবতারা ঘুমাইতেছেন ; তোমার স্বজাতি—এই দেবতাই একমাত্র জাগ্ৰত ; সর্বত্রই তাহার হস্ত, সর্বত্র তাহার কর্ণ, তিনি সকল স্থান ব্যাপিয়া আছেন। কোন অকেজো দেবতার অন্বেষণে তুমি ধাবিত হইতেছ, আর তোমার সম্মুখে, তোমার চতুর্দিকে যে দেবতাকে দেখিতেছ, সেই বিরাটের উপাসনা করিতে পারিত্যুেছ না? যখন তুমি এই দেবতার উপাসনায় সমর্থ হইবে, তখনই অন্যান্য দেবতাকেও পুজা করিবার ক্ষমতা তোমার হইবে । তোমরা আধ মাইল পথ হঁটিতে পার না, হনুমানের মতো সমুদ্র পার হইতে চাহিতেছ । * তাহা কখনই হইতে পারে না । সকলেই যোগী হইতে চায়, সকলেই ধ্যান করিতে অগ্রসর । তাহা হইতেই পারে না । সারাদিন সংসারের সঙ্গে—কর্মকাণ্ডে মিশিয়া সন্ধ্যাবেলায় খানিকটা বসিয়া নাক টিপিলে কি হইবে ? এ কি এতই সোজা ব্যাপার নাকি—তিনবার নাক টিপিয়াছ, আর মুমনি ঋষিগণ উড়িয়া আসিবেন ! এ কি তামাসা ? এ-সব অর্থহীন বাজে কথা ! আবশ্বক —চিত্তশুদ্ধি । কিরূপে এই চিত্তশুদ্ধি হইবে ? প্রথম পুজা-বিরাটের পুজা ; তোমার সম্মুখে—তোমার চারিদিকে যাহারা রহিয়াছেন, তাহীদের পুজা ; ইহাদের পুজা করিতে হইবে—সেবা নহে ; সেবা’ বলিলে আমার অভিপ্রেত ভাবটি ঠিক বুঝাইবে না, পূজা’ শব্দেই ঐ ভাবটি ঠিক প্রকাশ করা যায়। এইসব মানুষ ও পশু-ইহারাই তোমার ঈশ্বর, আর তোমার স্বদেশবাসিগণই তোমার প্রথম উপাস্ত্য । পরস্পরের প্রতি দ্বেষ-হিংসা পরিত্যাগ করিয়া ও পুরস্পর বিবাদ না করিয়া প্রথমেই এই স্বদেশবাসিগণের পূজা করিতে হইবে। তোমরা নিজেদের ঘোর কুকর্মের ফলে কষ্ট পাইতেছ, এত কষ্টেও তোমাদের চোখ খুলিতেছে না । বিষয় প্রকাও—কোনখানে থামিব তাহা জানি না। স্বতরাং মাসুজে ‘আমি যেভাবে কার্য করিতে চাই, দু-চার কথায় তাহ তোমাদের নিকট বলিয়। বক্তৃতা শেষ করিব। আমাদিগকে সমগ্র জাতির আধ্যাত্মিক ও লৌকিক শিক্ষার ভার গ্রহণ করিতে হইবে । এটি কি বুঝিতেছ ? তোমাদিগকে উহার বিষয়ে কল্পনা করিতে হইবে, আলোচনা করিতে হইবে, উহার সম্বন্ধে চিন্তা-করিতে হইবে, পরিশেষে উহা কার্যে পরিণত করিতে হইবে । যতদিন ন। তাহা করিতেছ, ততদিন এ জাতির উদ্ধার নাই । তোমরা এখন যে-শিক্ষা পাইতেছ, তাহার কতকগুলি গুণ অাছে বটে, কিন্তু আবারু কতকগুলি বিশেষ