পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ভবিষ্যৎ g》 কাজেরই প্রথমে ধর্মকে লইয়া থাকে। তোমরা বলিতে পারে, ঐ মন্দিরে কোন দেবতার পুজা হইবে-এই বিষয় লইয়া বিভিন্ন সম্প্রদায় বিবাদ করিতে পারে। এরূপ হইবার কিছুমাত্র আশঙ্কা নাই। আমরা যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করিবার কথা বলিতেছি, উহা অসাম্প্রদায়িক হইবে, ইহাতে সকল সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ উপাস্ত ওঙ্কারেরই কেবল উপাসনা হইবে। যদি কোন সম্প্রদায়ের ওঙ্কারোপাসনায় আপত্তি থাকে, তবে তাহার নিজেকে হিন্দু বলিবার কোন অধিকার নাই । যে কোন সম্প্রদায়ভুক্ত হউক না কেন, সকলেই নিজ নিজ সম্প্রদায়গত , ভাব অনুসারে ঐ ওঙ্কারের ব্যাখ্যা করিতে পারে, কিন্তু সর্বসাধারণের উপযোগী একটি মন্দিরের প্রয়োজন । অন্যান্য স্থানে তোমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পৃথক পৃথক দেবপ্রতিমা থাকিতে পারে, কিন্তু এখানে ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিগণের সহিত বিরোধ করিও না। এখানুে আমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়সমূহের সাধারণ মতসমূহ শিক্ষা দেওয়া হইবে, অথচ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ঐ স্থানে আসিয়া তাহাদের মতসমূহ শিক্ষা দিবার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকিবে, কেবল একটি বিষয়ে নিষেধ – অন্ত সম্প্রদায়ের সহিত মতবিরোধ থাকিলে বিবাদ করিতে পরিবে না । তোমার যাহা বক্তব্য আছে বলিয়া যাও, জগং উহা শুনিতে চায় । কিন্তু অন্যান্য ব্যক্তি-সম্বন্ধে তোমার কি মত, জগতের তাহা শুনিবার অবকাশ নাই, ওটি তোমার নিজের মনের ভিতরই থাকুক। " ... দ্বিতীয়তঃ এই মন্দিরের সঙ্গে শিক্ষক ও প্রচারক গঠন করিবার জন্য একটি বিদ্যালয় থাকিবে । এখুনি হইতে যে-সকল আচার্য শিক্ষিত হইবেন, তাহার সর্বসাধারণকে ধর্ম ও অপরা বিদ্যা শিক্ষা দিবেন। আমরা এখন যেমন দ্বারে দ্বারে ধর্ম প্রচার করিতেছি, তাহাদিগকে সেইরূপ ধর্ম ও বিদ্যা উভয়ই প্রচার করিদ্রত হইবে। আর ইহা অতি সহজেই হইতে পারে। এই-সকল আচার্য ও প্রচারকগণের চেষ্টায় যেমন কার্য বিস্তৃত হইতে থাকিবে, অমনি এইরূপ আচার্য ও প্রচারকের সংখ্যাও বাড়িতে থাকিবে, ক্রমশঃ অন্যান্য স্থানে এইরূপ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইতে থাকিবে, যতদিন না আমরা সমগ্র ভারত ব্যাপ্ত করিয়া ফেলিতে পারি। ইহাই আমার প্রণালী । ইহা অতি প্রকাও ব্যাপার বোধ হইতে পারে, কিন্তু ইহা প্রয়োজন । তোমরা বলিতে পারে, টাকা কোথায় ? টাকার প্রয়োজন নাই ; টাকায় কি