পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দান-প্লসঙ্গে ఫి రిvడి জন্য আত্মবলিদালই তোমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম। এই জীবনে আছে কি ? তোমরা হিন্দু আর তোমাদের মজ্জাগত বিশ্বাস যে, দেহের নাশে জীবনের নাশ হয় না। সময়ে সময়ে মাদ্রাজী যুবকগণ আসিয়া আমার নিকট নাস্তিকতার কথা বলিয়া থাকে। আমি বিশ্বাস করি না যে, হিন্দু কখনও নাস্তিক হইতে পারে। পাশ্চাত্য গ্রন্থাদি পড়িয় সে মনে করিতে পারে, সে জড়বাদী হইয়াছে। কিন্তু তাহা দু-দিনের জন্য, এ-ভাব তোমাদের মজ্জাগত নহে ; তোমাদের ধাতে যাহা নাই, তাহা তোমরা কখনই বিশ্বাস করিতে পার না, তাহা তোমাদের পক্ষে অসম্ভব চেষ্টা। ঐরুপ করিবার চেষ্টা করিও না। আমি বাল্যাবস্থায় একবার ঐরূপ চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু কৃতকার্য হই নাই। উহা যে হইবার নয় । জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আত্মা অবিনাশী ও অনন্ত ; অতএব যখন মৃত্যু নিশ্চয়, তখন এস, একটি মহান আদর্শ লইয়া উহাতেই সুমগ্র জীবন নিয়োজিত করি। ইহাই আমাদের সঙ্কল্প হউক । সেই ভগবান, যিনি শাস্ত্রমুখে বলিয়াছেন, ‘আমি নিজ ভক্তদের পরিত্রণের জন্য বার বার ধরাধামে আবিভূতি হই, সেই মহান কৃষ্ণ আমাদিগকে আশীৰ্বাদ করুন এবং আমাদের উদ্দেশু-সিদ্ধির সহায় হউন । দান-প্রসঙ্গে মাস্ত্রীজে অবস্থানকালে স্বামীজী চেন্নাপুরী অন্নদান-সমাজম নামক এক দাতব্য ভাণ্ডারের সাংবৎসরিক অধিবেশনে সভাপতি হন । ব্রাহ্মণজাতিকে বিশেষভাবে ভিক্ষাদানপ্রথা ঠিক নহে-পূর্ববতী বক্তা এই মর্মে বলিলে স্বামীজী বলেন : এই প্রথার ভাল-মন্দ দুই দিকই আছে। ব্রাহ্মণগণই হিন্দুজাতির সমুদয় জ্ঞান ও চিন্তা-সম্পত্তির রক্ষক । যদি তাহাদিগকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া অয়ের সংস্থান করিতে হয়, তবে তাহাদিগের জ্ঞানচর্চার বিশেষ ব্যাঘাত হইবে ও সমগ্র হিন্দুজাতি তাহাতে ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। ভারতের অকিচারিত দান ও অন্যান্য জাতির বিধিবদ্ধ দান-প্রথার তুলনা করিয়া স্বামীজী বলিলেন : ভারতের দরিদ্র মুষ্টিভিক্ষা লইয়া মস্তোষ ও শাস্তিতে