পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* У о স্বামীজীর রাণী ও রচনা চক্ষে পড়ে নাই, যাহাকে কেহ ভাল করিয়া দেখে নাই, যাহার গৃঢ় শক্তিসম্বন্ধে কেহ স্বপ্নেও ভাবে নাই—সেটিই ক্রমশঃ প্রবল হইতে থাকে এবং অপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরঙ্গগুলিকে যেন গ্রাস করিয়া নিজ অঙ্গে মিলাইয়া লয়। এইরূপে বিপুল ও প্রবল হইয়া উহা মহাবন্যায় পরিণত হয় এবং সমাজের উপর এরূপ বেগে পতিত হয় যে, কেহ উহার গতিরোধ করিতে পারে না । , এরূপ ব্যাপারই এক্ষণে ঘটিতেছে । যদি তোমাদের চক্ষু থাকে তবেই দেখিবে, যদি তোমাদের হৃদয়দ্বার উন্মুক্ত থাকে তবেই উহা গ্রহণ করিবে, যদি সত্যাহ্লসন্ধিংস্থ হও তবেই উহার সন্ধান পাইবে । . . অন্ধ—সে অতি অন্ধ, যে সময়ের সঙ্কেত দেখিতেছে না, বুঝিতেছে না ; দেখিতেছে না, সুদূরগ্রামজাত দরিদ্র ব্রাহ্মণ পিতামাতার এই সস্তান এখন সেই-সকল, দেশে সত্য সত্যই পূজিত হইতেছেন, ঘে-সকল দেশের লোকেরা শত শতাব্দী যাবৎ পৌত্তলিক উপাসনার বিরুদ্ধে চীৎকার করিয়া আসিতেছে। ইহা কাহার শক্তি ? ইহা কি তোমাদের শক্তি না আমার ? না, ইহা আর কাহারও শক্তি নহে ; যে-শক্তি এখানে—রামকৃষ্ণ পরমহংসৰূপে আবিভূতি হইয়াছেন, এ সেই শক্তি। কারণ তুমি আমি, সাধু মহাপুরুষ, এমন কি অবতারগণ—সকলেই সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডই শক্তির বিকাশমাত্র ; সেই শক্তি কোথাও বা কম, কোথাও বা বেশী ঘনীভূত, পুঞ্জীকৃত। এখন আমরা সেই মহাশক্তির খেলার আরম্ভমাত্র দেখিতেছি । আর বর্তমান যুগের অবসান হইবার পূর্বেই তোমরা ইহার আশ্চর্য—অতি আশ্চর্য খেলা প্রত্যক্ষ করিবে। ভারতবর্ষের পুনরুত্থানের জন্য এই শক্তির বিকাশ ঠিক সময়েই হইয়াছে। যে প্রাণশক্তি ভারতকে সর্পদ সঞ্জীবিত রাখিবে, তাহার কথা সময়ে সময়ে আমরা छूलिब्र यांझे । প্রত্যেক জাতিরই উদ্দেশু-সাধনের ভিন্ন ভিন্ন কার্যপ্রণালী আছে। কেহ রাজনীতি, কেহ সমাজসংস্কার, কেহ বা অপর কিছুকে প্রধান উদেশ্ব অবলম্বন করিয়া কাজ করিতেছে । আমাদিগের পক্ষে ধর্মের মধ্য দিয়া ছাড়া কাজ করিবার অন্য উপায় নাই। ইংরেজ রাজনীতির মাধ্যমে ধর্ম বোঝে ; বোধ হয় সমাজ-সংস্কারের সাহায্যে মাকিন সহজে ধর্ম বুঝিতে পারে ; কিন্তু হিন্দু রাজনীতি, সমাজসংস্কার ও অন্যান্ত যাহা কিছু—সবই ধর্মের ভিতর দিয়া ছাড়া বুঝিতে পারে না। জাতীয় জীবন-সঙ্গীতের এইটিই যেন প্রধান স্বর, অন্তগুলি