পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা অভিনন্দনের উত্তর * Σ Σ যেন তাহারই একটু বৈচিত্র্য মাত্র। আর ঐটিই নষ্ট হইবার আশঙ্কা হইয়াছিল। আমরা যেন মামাদের জাতীয় জীবনের এই মূল ভাবটিকে সরাইয়া উহার স্থানে অন্য একটি ভাব স্থাপন করিতে যাইতেছিলাম, যে-মেরুদণ্ডের বলে আমরা দণ্ডায়মান, আমরা যেন তাহার পরিবর্তে অপর একটি মেরুদণ্ড স্থাপন করিতে যাইতেছিলাম, আমাদের .জাতীয় জীবনের ধর্মরূপ মেরুদণ্ডের স্থানে আমরা রাজনীতিরূপ মেরুদ ওঁ স্থাপন করিতে যাইতেছিলাম। যদি আমরা ইহাতে কৃতকার্য হইতাম, তবে আমাদের সমূলে বিনাশ হইত। কিন্তু তাহ তো হইবার নয় । তাই এই মহাশক্তির প্রকাশ হইয়াছিল। এই মহাপুরুষকে যেভাবেই লও, তাহা আমি গ্রাহ করি না! তাহাকে কতটা ভক্তিশ্রদ্ধা কর, তাহাতেও কিছু আসে যায় না, কিন্তু আমি জোর করিয়া বলিতেছি, কয়েক শতাব্দী যাবৎ ভারতুে এরূপ অদ্ভুত মহাশক্তির বিকাশ আর কখন হয় নাই । আর তোমরা যখন হিন্দু, তখন এই শক্তির দ্বার। শুধু ভারতবর্ষ নয়, সমগ্র মানবজাতির উন্নতি ও মঙ্গল কিরূপে সাধিত হইতেছে, ইহা জানিবার জন্য এই শক্তি সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া ইহাকে বুঝিবার চেষ্টা করা তোমাদের কর্তব্য। অহে, জগতের কোন দেশে সার্বভৌম ধর্ম এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃভাবের প্রসঙ্গ আলোচিত হইবার অনেক পুর্বেই এই নগরীর সন্নিকটে এমন একব্যক্তি বাস করিতেন, যাহার সমস্ত জীবনটাই একটি ধর্মমহাসভা-স্বরূপ ছিল । ভদ্রমহোদয়গণ, অপমাদের শাস্ত্র নিগুণ ব্রহ্মকেই আমাদের চরম লক্ষ্য বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। আর ঈশ্বরেচ্ছায় সকলেই যদি সেই নিগুণ ব্রহ্ম উপলব্ধি করিতে সমর্থ হহঁতেন, তবে, বড়ই ভাল হইত ; কিন্তু তাহ যখন হইবার নয়, তথন আমাদের মতুযুজাতির অনেকেরই পক্ষে একটি সগুণ অ]দশ না থাকিলে একেবারেই চলিবে না । এইরূপ কোন মহান আদর্শ পুরুষের প্রতি বিশ্লেষ অনুরাগী হইয় তাহর পতাকাতলে দণ্ডায়মান না হইয়া কোন জাতিই উঠিতে পারে না, কোন জাতিই বড় হইতে পারে না, এমন কি কোন কাজই করিতে পারে না। রাজনীতিক, এমন কি সামাজিক বা বাণিজ্যজগতেরও কোন আদর্শ পুরুষ কখন ভারতে সর্বসাধারণের উপর প্রভাব বিস্তার * করিতে পারিবেন না। আমরা চাই আধ্যাত্মিক আদর্শ । উচ্চ অধ্যাত্মসম্পদের অধিকারী মহাপুরুষগণের নামে আমরা সম্মিলিত হইতে চাই—সকলে মাতিতে চাই। ধর্মবীর না হইলে আমরা তাহাক্লে আদর্শ করিতে