পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > ゲ স্বামীজীর বাণী ও রচনা সম্মুখে এই মহান কর্তব্য রহিয়াছে। অতএব আর একবার তোমাদিগকে সেই মহতী বাণী—“উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান নিবোধত স্মরণ করাইয়া,দিয়া আমার বক্তব্য শেষ করিতেছি । ভয় পাইও না, কারণ মনুষ্য-জাতির ইতিহাসে দেখা যায়, যত কিছু শক্তির প্রকাশ হইয়াছে, সবই সাধারণ লোকের ভিতরে । জগতে যত বড় বড় প্রতিভাশালী পুরুষ জন্মিয়াছেন, সবই সাধারণ লোকের মধ্য হইতে ; আর ইতিহাসে একবার যাহা ঘটিয়াছে, পুনরায় তাহ ঘটবে। কিছুতেই ভয় পাইও না । তোমরা অদ্ভুত অদ্ভূত কার্য করিবে। যে মুহূর্তে তোমাদের হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার হইবে, সেই মূহূর্তেই তোমরা শক্তিহীন । ভয়ই জগতের সমুদয় দুঃখের মূল কারণ, ভয়ই সর্বাপেক্ষ বড় কুসংস্কার ; নির্ভীক হইলে মুহূর্ত মধ্যেই স্বর্গ আমাদের করতলগত হয়। অতএব উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত।’ ভদ্রমহোদয়গণ, আপনারা আমার প্রতি যে অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন, সেজন্য আপনাদিগকে পুনরায় ধন্যবাদ দিতেছি । আমি আপনাদিগকে কেবল বলিতে পারি—আমার ইচ্ছ, আমার প্রবল অস্তিরিক ইচ্ছ। আমি যেন জগতের, সর্বোপরি অামার স্বদেশের ও স্বদেশবাসিগণের যৎসামান্য সেবায় লাগিতে পারি। সর্বাবয়ব বেদাস্ত কলিকাতা স্টার থিয়েটারে প্রদত্ত বক্তৃত। ] দূরে—অতি দূরে, লিপিবদ্ধ ইতিহাস, এমন কি ঐতিহের ক্ষীণ রশ্মিজাল পর্যন্ত যেখানে প্রবেশ করিতে অসমর্থ –অনন্তকাল স্থিরভাবে সেই আলোক জলিতেছে, বহিঃপ্রকৃতির লীলাবৈচিত্র্যে কখন কিছুটা ক্ষীণ, কখন অতি উজ্জ্বল কিন্তু চিরকাল অনির্বাণ ও স্থির থাকিয়া শুধু সমগ্র ভারতে নয়, সমগ্ৰ ভাবরাজ্যে উহার পবিত্র রশ্মি, নীরব অনচুভূত, শাস্ত অথচ সর্বশক্তিমান পবিত্র রশ্মি বিকিরণ করিতেছে ; উষাকালীন শিশির সম্পাতের ন্যায় অশ্রুত ও অলক্ষ্যভাবে পড়িয়া অতি সুন্দর গোলাপ-কলিকে প্রস্ফুটিত कहिज्रङ–३श३ উপনিষদের ভবিরাশি, ইহাই বেদান্তদর্শন। কেহই জানে না, কবে উহা প্রথম ভারতক্ষেত্রে আবিভূতি