পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বাবয়ব বেদাস্ত ぬ** to হউক, সংহিতার এই কবিত্ব অতি অপুর্ব বটে, কিন্তু এখানেও বহিঃপ্রকৃতির বর্ণনার চেষ্টা । অন্যত্র যেমন বহিঃপ্রকৃতির বিশ্লেষণদ্বারা মানবজীবনের মহান সমস্তাসমূহের সমাধানের চেষ্ট হইয়াছে, এখানেও ঠিক তাহাই হইয়াছিল। প্রাচীন গ্রীক বা আধুনিক ইওরোপীয়গণ যেমন বহির্জগৎ অনুসন্ধান করিয়া জীবনের এবং পারমার্থিক তত্ত্ববিষয়ক সকল সমস্তার সমাধান করিতে চহিয়াছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষগণও তাহাই করিয়াছিলেন, আর ইওরোপীয়গণের ন্যায় তাহারাও বিফল হইয়াছিলেন । কিন্তু পাশ্চাত্যজাতি এ বিষয়ে আর কোন চেষ্টা করিল না ; যেখানে ছিল, সেখানেই পড়িয়া রহিল । বহির্জগতে জীবন-মরণের বড় বড় সমস্যাগুলির সমাধান করিবার চেষ্টায় বিফল হইয়া তাহারা আর অগ্রসর হইল না ; আমাদের পুর্বপুরুষগণও ইহা অসম্ভব বলিয়া জানিয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা এই সমস্তা-সমাধানে ইন্দ্রিয়গণের সম্পূর্ণ অক্ষমতার কথা জগতের নিকট নিভীকভাবে প্রকাশ করিলেন। উপনিষং নিভীকভাবে বলিলেন ; যতো বাচো নিবর্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ । —ন তত্র চক্ষুর্গচ্ছতি ন বাগ্‌ গচ্ছতি ॥২ —মনের সহিত বাক্য র্তাহাকে না পাইয়া যেখান হইতে ফিরিয়া আসে, সেখানে চক্ষুও যাইতে পারে না, বাক্যও যাইতে পারে না । এইরূপ বহু বাক্যের দ্বারা সেই মহা সমস্তা-সমাধানে ইন্দ্রিয়গণের সম্পূর্ণ অক্ষমতার কথা তাহারা ব্যক্ত করিয়াছেন । কিন্তু তাহারা এই পর্যন্ত বলিয়াই ক্ষান্ত হন নাই ; তাহারা বহিঃপ্রকৃতি ছাড়িয়া অন্তঃপ্রকৃতির দিকে মনোনিবেশ করিলেন। তাহারা এই প্রশ্নের উত্তর পাইবার জন্য মাত্মাভিমুখী হইলেন, অস্তমুখী হইলেন ; তাহারা বুঝিলেন, প্রাণহীন জড় হইতে তাহারা কখনই সত্য লাভ করিতে পারিবেন না। তাহারা দেখিলেন, বহিঃপ্রকৃতিকে প্রশ্ন করিয়া কোন উত্তর পাওয়া যায় না, বহিঃপ্রকৃতি র্তাহাদিগকে কোন আশার বাণী শোনায় না, সুতরাং তাহারা উহা হইতে সত্যাচুসন্ধানের চেষ্টা বৃথা জানিয়া বহিঃপ্রকৃতিকে ছাড়িয়া সেই জ্যোতির্ময় জীবাত্মার দিকে ফিরিলেন ; সেখানে তাহারা উত্তর পাইলেন : তমেবৈকং জানথ আত্মানম্ অন্যা বাচো বিমুঞ্চথ ॥৩ —একমাত্র সেই আত্মাকেই অবগত হও, আর সমস্ত বৃথা বাক্য পরিত্যাগ করণ ১ তৈত্তি উপ. A ה-4 אat t"t סן ג ও মুণ্ডক উপ ২২le