পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ88 স্বামীজীর বাণী ও রচনা —র্তাহারা স্বয়ং ভীষণ জীবনসমুদ্র পার হইয়া গিয়াছেন এবং নিজেদের কোন লাভের আশা না রাখিয়া অপরকে ত্রাণ করেন । এইরূপ ব্যক্তিগণই গুরু, এবং ইহাও বুঝিও যে, আর কেহই গুরু হইতে পারে না। কারণ, يrه م অবিদ্যায়ামন্তরে বর্তমানঃ স্বয়ং ধীরা: পণ্ডিতৰ্ম্মন্ত্যমানা: | দংষ্ট্রম্যমানা: পরিয়ন্তি মূঢ়া; অন্ধেনৈব নীসমান যথাস্কা ॥১ —নিজের অজ্ঞানের অন্ধকারে ডুবিয়া রহিয়াছে, কিন্তু অহঙ্কারবশত: মনে করিতেছে, তাহারা সব জানে ; শুধু ইহা ভাবিয়াই নিশ্চিন্ত নহে, তাহারা আবার অপরকে সাহায্য করিতে যায়। তাহারা নানারূপ কুটিল পথে ভ্রমণ করিতে থাকে। এইরূপ অন্ধের দ্বারা নীয়মান অন্ধের ন্যায় তাহারা উভয়েই খানাডোবায়ু পড়িয়া যায়। তোমাদের বেদ এই কথা বলেন । এই বাক্যের সহিত তোমাদের আধুনিক প্রথার তুলনা কর । তোমরা বৈদান্তিক, তোমরা খাটি হিন্দু, তোমরা সনাতনপস্থার পক্ষপাতী। আমি তোমাদিগকে সনাতন আদশের আরও অধিক পক্ষপাতী করিতে চাই। যতই তোমরা সনাতন পন্থার অধিকতর পক্ষপাতী হইবে, ততই অধিকতর বুদ্ধিমানের মতে কাজ করিবে ; আর যতই তোমর। আজকালকার গোড়ামির অনুসরণ করিবে, ততই তোমরা অধিক নির্বোধের মতে কাজ করিবে । তোমাদের সেই অতি প্রাচীন সনাতন পস্থা অবলম্বন কর ; কারণ তখনকার শাস্ত্রের প্রত্যেক বাণী বীর্যবান স্থির অকপট হৃদয় হইতে উখিত, উহার প্রত্যেক স্বরটিই অমোঘ। তাহার পর জাতীয় অবনতি আসিল —শিল্প, বিজ্ঞান, ধর্ম সকল বিষয়েই অবনতি হইল। উহার কারণ-পরম্পরা বিচার করিবার সময় আমাদের নাই, কিন্তু তখনকার লিখিত সকল পুস্তকেই আমাদের এই জাতীয় ব্যাধির, জাতীয় অবনতির প্রমাণ পাওয়া যায় ; জাতীয় বীর্যের পরিবর্তে উহাতে কেবল রোদনধ্বনি । সেই প্রাচীনকালের ভাব লইয়। আইস, যখন জাতীয় শরীরে বীর্য ও জীবন ছিল। তোমরা আবার বীর্যবান হও, সেই প্রাচীন নির্ঝরিণীর জল আবার প্রাণ ভরিয়া পান কর। ইহা ব্যতীত ভারতের বাচিবার আর অন্য উপায় নাই । $ છેન, સારાહ