পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিয়ালকোটে বক্তৃত –ভক্তি 象蓝博 সাধু-মহাত্মাদিগকে ঈশ্বরের ন্যায় উপাসনা করিতেছে। বৌদ্ধধর্মই এই বিষয়ের প্রসিদ্ধ উদাহরণ। . - ভক্তি সকল ধর্মেই রহিয়াছে—কোথাও এই ভক্তি ঈশ্বরে, কোথাও বা মহাপুরুষে অৰ্পিত , সর্বত্রই এই ভক্তিরূপ উপাসনার প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায়, আর জ্ঞান অপেক্ষ ভুক্তি লাভ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। জ্ঞানলাভ করিতে দৃঢ় অভ্যাস, অনুকূল-অবস্থা প্রভৃতি নানা বিষয়ের প্রয়োজন হইয়া থাকে । শরীর সম্পূর্ণ স্বস্থ ও রোগশূন্য না হইলে এবং মন সম্পূর্ণরূপে বিষয়াসক্তিশূন্য না হইলে যোগ অভ্যাস করা যাইতে পারে না। কিন্তু সকল অবস্থার লোক অতি সহজেই ভক্তিসাধন করিতে পারে। ভক্তিমার্গের আচার্য শাণ্ডিল্য ঋষি বলিয়াছেন, ঈশ্বরে পরমাহরাগই ভক্তি। প্রলোদও এইরূপ কথাই বলিয়াছেন। যদি কোন ব্যক্তি একদিন খাইতে না পায়, তবে তাহার মহাকষ্ট হয়। সন্তানের মৃত্যু হইলে লোকের প্রাণে কী যন্ত্রণা হয়! যে ভগবানের প্রকৃত ভক্ত, তাহারও প্রাণু ভগবানের বিরহে এরূপ ছটফট করিয়া থাকে। ভক্তির মহৎ গুণ এই যে, উহ! স্বারা চিত্তশুদ্ধি হয়, আর পরমেশ্বরে দৃঢ় ভক্তি হইলে কেবল উহা দ্বারাই চিত্ত শুদ্ধ হইয়া থাকে । “নাম্নামকারি বহুধা নিজসর্বশক্তি: , ইত্যাদি : —হে ভগবান, তোমার অসংখ্য নাম আর তোমার প্রত্যেক নামেই তোমার অনন্ত শক্তি বর্তমান । প্রত্যেক নামেরই গভীর তাৎপর্য আছে, আর তোমার নাম উচ্চারণ করিবার স্থান কাল কিছু বিচার করিবার নাই। মৃত্যু শ্ৰখন স্থান-কাল বিচার না, করিয়াই মাতুষকে আক্রমণ করে, তখন ঈশ্বরের নাম করিবার স্থান-কাল-বিচার কি হইতে পারে ? ঈশ্বর বিভিন্ন সাধক কর্তৃক বিভিন্ন নামে উপাসিত হন বটে, কিন্তু এই ভেদ আপাতদৃষ্টমাত্র, বাস্তব নহে। কেহ কেহ মনে করেন, তাহাদের সাধনপ্রণালীই অধিক কার্যকর, অপরে আবার তাহাদের সাধনপ্রণালীকেই আশু মুক্তিলাভের সহজ উপায় বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন । কিন্তু যদি তাহাদের সাধন-পদ্ধতির মূল ভিত্তি অনুসন্ধান করিয়া দেখা যায়, তবে দেখিতে পাওয়া যাইবে—উভয় পদ্ধতিই এক প্রকার। শৈবগণ শিবকে সর্বাপ্লেক্ষণ শক্তিশালী বলিয়া বিশ্বাস ১ শিক্ষাক:জচৈতন্ত ۹ داده .