পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rb-br স্বামীজীর বাণী ও রচনা গিয়াছেন, তিনি তাহার মহান প্রেম লইয়া আমাদের ভিতর প্রবেশ করুন, তিনি আমাদের উপর তাহার শুভাশীবাদ বর্ষণ করুন, তাহার রূপায় আমরা যেন পরস্পরকে বুঝিতে সমর্থ হই, তাহার রুপায় যেন আমরা প্রকৃত প্রেম ও তীব্র সত্যাকুরাগের সহিত পরম্পরের জন্য কাজ করিতে পারি, এবং ভারতের আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধনরূপ মহৎ কার্যের মধ্যে যেন আমাদের ব্যক্তিগত যশ ও স্বার্থ, ব্যক্তিগত গৌরবের আকাজক্ষা প্রবেশ না করে ! उङि ৯ই নভেম্বর, ১৮৯৭, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের তাবুতে ‘ভক্তি’ সম্বন্ধে স্বামীজীর বক্তৃত হয় । ইহাই লাহোরে স্বামীজীর দ্বিতীয় বক্তৃতা । লাল বালমুকুন্দ সভাপতি ছিলেন । লাহোর হইতে প্রকাশিত ‘ট্রিবিউন-পত্রে ( নভেম্বর, ১৮৯৭ ) বক্তৃতার সারাংশ প্রকাশিত হয় । উপনিষৎসমূহের গম্ভীরনাদী প্রবাহের মধ্যে একটি শব্দ দূরাগত প্রতিধ্বনির ন্যায় আমাদের নিকট উপস্থিত হয় । যদিও উহা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইয়াছে, তথাপি সমগ্র বেদাস্ত-সাহিত্যে উহা স্পষ্ট হইলেও তত প্রবল নহে । উপনিষদগুলির মুখ্য উদ্দেশু মনে হয়—যেন আমাদের সম্মুখে ভূমার ভাব ও চিত্র উপস্থিত করা । তথাপি এই অদ্ভুত ভাবগাম্ভীর্যের পশ্চাতে মধ্যে মধ্যে আমরা কবিত্বেরও আভাস পাই ; যথা— { ন তত্র স্বর্ষে ভাতি ন চন্দ্রতারকম নেমা বিদ্যুতো ভাস্তি কুতোয়হয়মগ্নিঃ - —সেখানে স্বর্য প্রকাশ পায় না, চন্দ্রতারকাও নহে, এই-সব বিদ্যুৎও প্রকাশ পায় না, অগ্নির তো কথাই নাই । এই অপূর্ব পঙক্তিদ্বয়ের হৃদয়স্পর্শী কবিত্ব শুনিতে শুনিতে আমরা যেন ইন্দ্রিয়গ্রাহ জগৎ হইতে, এমন কি মনোরাজ্য হইতে দূরে অতি দূরে নীত ১ কঠ উপ , ই২॥১৫